ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় রেলওয়ের মালামাল চুরির ঘটনায় তিন কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
শুক্রবার (১০ মে) রেলওয়ের বিভাগীয় যন্ত্র প্রকৌশলী তাদের বরখাস্তের এ আদেশ দেন। বরখাস্ত হওয়া তিন কর্মচারীর মধ্যে রয়েছেন- শেড খালাসি মানিক দাস, জীবন দাস ও জসিম উদ্দিন।
এর আগে গত সোমবার একটি ভ্যানগাড়িতে করে অনুমতি ছাড়া ৬০ থেকে ৭০ কেজি রেলওয়ের সম্পদ (লোহা-যন্ত্রাংশ) নিয়ে যাওয়ার সময় তাদের আটক করে রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী (আরএনবি)। পরে আরএনবি চৌকিতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে তাদের ছেড়ে দেয় আরএনবি চিফ ইন্সপেক্টর আবু সুফিয়ান। তবে মালামালগুলো আরএনবি অফিসে রেখে দেয়। অভিযোগ ওঠে, আরএনবি চিফ আবু সুফিয়ানকে ম্যানেজ করে ছাড়া পায় লোকোশেডের কর্মচারীরা।
এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে আখাউড়া আরএনবি’র পরিদর্শক মো. আবু সুফিয়ান ভুঁইয়া রফাদফা করে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘মালামালগুলো উদ্ধারের পর জানতে পারি, এগুলো মূলত ‘আবর্জনা’। সব মিলিয়ে ৫০ থেকে ৬০ কেজি হবে। রেলওয়ের এসব মালামাল আমাদের কাছে রেখে দেওয়া হয়েছে।
বরখাস্ত হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে লোকো ইন্সপেক্টর মো. নজরুল ইসলাম বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অভিযুক্ত তিনজন শেড খালাসিকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ পরবর্তী কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
বরখাস্ত হওয়া লোকোশেডের কর্মচারী জীবন দাস জানান, এসব মালামাল দুর্ঘটনাকবলিত ট্রেনের। ডাম্পিং স্টেশনে রাখার জন্য তারা এগুলো নিয়ে যাওয়ার সময় আরএনবি সদস্যরা বিষয়টি জানতে চান। পরে তারা মালামালগুলো নিয়ে যান।
উল্লেখ্য, আখাউড়ায় রেলওয়ের যন্ত্রাংশ চুরি যেন থামছেই না। রেলওয়ের একটি চক্র এর আগেও যন্ত্রাংশ চুরি করে বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়ে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা ছাড়া পেয়ে যায়।
মন্তব্য করুন