গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লিফটে আটকে থাকার পর এক রোগীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে এমনটি হতে পারে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
রোববার (১২ মে) সকালে হাসপাতালের লিফটে এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের মেয়ে শারমিন বলেন, আমার মা সকালে অসুস্থ হয়ে যায়। পরে সকাল ৬টায় তাজউদ্দীন হাসপাতালে নিয়ে আসি। প্রথমে মেডিসিন বিভাগে ভর্তি করে পরীক্ষা করা হয়। সেখানে পরীক্ষার পর জানা যায় হার্টে সমস্যা। পরে ১১তলা থেকে থেকে লিফটে চারতলার হৃদরোগ বিভাগে নেওয়ার কথা বলে।
তিনি বলেন, তাদের কথামতো লিফটে উঠলে ৯ তলার মাঝামাঝি হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় আমি, মামা, ভাইসহ কয়েকজন মাকে নিয়ে ভেতরে ছিলাম। আমাদের দমবন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। আমরা লিফটে থাকা তিনজন লিফটম্যানকে ফোন দেই। কিন্তু তারা গাফিলতি করে। ফোনে আমাদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে।
শারমিন আরও বলেন, ৪৫ মিনিট আমরা ভেতরে অবস্থান করেছি। উপায় না পেয়ে ৯৯৯ ফোন দেই। ফোন পেয়ে ফায়ার সার্ভিস এসে উদ্ধার করে। লিফটম্যানদের গাফিলতির কারণে আমার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে কোনো দায়িত্ববোধ নেই।
গাজীপুর তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপপরিচালক মো. জাহাঙ্গীর আলম কালবেলাকে বলেন, সকালে মমতাজ বেগমকে বুকে ব্যথা অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে মেডিসিন বিভাগ হতে ৪ তলায় নেওয়ার জন্য লিফটে তোলা হয়। এ সময় লিফটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। এতে দীর্ঘ সময় লিফট আটকে থাকে।
তিনি বলেন, খবর পেয়ে লিফটম্যান ও ফায়ার সার্ভিসের লোক এসে সবাইকে উদ্ধার করে। লিফটে আটকে থাকা সবাই সুস্থ ছিল কিন্তু মমতাজ বেগম মারা গেছেন। আমরা পুরো বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
এর আগে শুক্রবার (১০ মে) হাসপাতালের ১২ তলার নামাজের কক্ষের দেয়ালের পাশের ফাঁকা স্থান দিয়ে নিচে পড়ে গিয়ে হাসপাতালে চিকিসাধীন জিল্লুর রহমান নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ করেন স্বজনরা।
মন্তব্য করুন