চট্টগ্রামের ইপিজেডে পাওনা টাকার জেরে ছুরিকাঘাতে মেহেদী হাসান নামে এক তরুণকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (১১ মে) সকালে ইপিজেড থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন সাদিকুর ও হাফিজুর রহমান।
জানা গেছে, বৃহস্পতিবার (৯ মে) বেলা ২টার দিকে সিইপিজেডের কন্ডা আর্টস ম্যাটেরিয়ালস নামের কারখানার শ্রমিক সাদিকুর এবং রমজানের মধ্যে পাওনা টাকা নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়। এ সময় তারা একে অপরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। পরে একই পোশাক কারখানায় কর্মরত মেহেদী হাসান রিফাত এ বিষয়টি মীমাংসা করে দিলেও সেটি মেনে নেয়নি সাদিকুর। রিফাত রমজানের পক্ষ নিয়েছে এমন ধারণা করে ভাড়া করা সন্ত্রাসীদের নিয়ে একই দিন রাতে রিফাতকে মারতে যায় সাদিকুর। আকমল আলী পকেট গেটে একটি ফটোকপির দোকানের সামনে রিফাতের রিকশা থামিয়ে সাদিকের নেতৃত্বে মেহেদী হাসান ও রিফাতের ওপর হামলা চালায়।
ওই সময় মেহেদী হাসানের বুকের মাঝখানে ছুরিকাঘাত করা হলে তিনি গুরুতর আহত হন। এরপর তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক রাত ১০টার দিকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয় রিফাত এবং শহিদুল নামে দুই যুবক।
ইপিজেড থানার ওসি মোহাম্মদ হোছাইন কালবেলাকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মেহেদী হাসান খুনের ঘটনায় তার মা রেহানা বেগম শুক্রবার (১০ তারিখ) বাদী হয়ে সাদিকুর রহমান এবং রমজান আলীর নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাতপরিচয় ৮/১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন।
তিনি বলেন, মামলার পর প্রথমে আমরা আসামি সাদিকুরকে গ্রেপ্তার করি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে তার তথ্যের ভিত্তিতে পরবর্তীতে হাফিজুর রহমানকেও গ্রেপ্তার করি। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তার করতে আমাদের অভিযান চলমান।
মন্তব্য করুন