হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে বদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ চৌধুরীর বিরুদ্ধে এক কিশোরকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
তবে চেয়ারম্যানের দাবি, বাঁধে লাগানো সরকারি গাছ গরু দিয়ে নষ্ট করার সময় বাঁধা দেওয়ায় কিশোর উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করায় তাকে শাসন করা হয়েছে।
মারধরের শিকার কিশোর বিক্রম দাস (১৩) বদলপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা কালীকৃষ্ণ দাসের ছেলে ও সাতগাঁও উচ্চ বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী।
শুক্রবার (১০ মে) সকালে বদলপুর ইউনিয়নের বদলপুর-পাহাড়পুর সড়কসংলগ্ন বেড়িবাঁধে এ ঘটনা ঘঠে।
ভুক্তভোগী কিশোরের পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার সকালে হাঁস ও গরু নিয়ে বাঁধ সংলগ্ন পতিত জমিতে যায় বিক্রম। এরপর গরুগুলোকে জমির পাশে ঘাস খাওয়াতে দেয়। কিছুক্ষণ পর চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ চৌধুরীসহ কিছু লোক সেখানে আসে। এ সময় চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ চৌধুরী গরুগুলোকে সেখান থেকে সরাতে বলে। বিক্রম গরু পরে সরাবে বললে চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করাসহ হাতে থাকা লাঠি দিয়ে বিক্রমকে বেধড়ক পিঠিয়ে আহত করে। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
বিক্রম বলে, সকালে হাঁস ও গরু নিয়ে বাঁধসংলগ্ন জমিতে খাওয়াতে যাই। কিছুক্ষণ পর চেয়ারম্যানের সঙ্গের লোকজন এসে আমাকে গরু সরাতে বলে। গরু পরে সরাব বলার সঙ্গে সঙ্গেই চেয়ারম্যান আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে ও হাতে থাকা লাঠি দিয়ে মারধর করে। আমার মা এসে বাধা দিলে তাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ।
এ বিষয়ে বদলপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সুষেনজিৎ চৌধুরী বলেন, বেড়িবাঁধে আমি প্রয়ি আড়াই হাজার গাছ লাগিয়েছি। প্রতিদিন গরুগুলো গাছ নষ্ট করে। শুক্রবার সকালে বাঁধে গিয়ে গরু সরাতে বললে বিক্রম উচ্ছৃঙ্খল আচরণ করে। আমি তখন শাসন করার জন্য হাতে থাকা কঞ্চি দিয়ে একটি আঘাত করি।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক রেজাউল করিম জানান, কিশোর বিক্রমের হাটুর ওপরে সামনে ও পেছনে ঊরুতে লাঠির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আজমিরীগঞ্জ থানার ওসি ডালিম আহমেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে কিশোর বিক্রমের পরিবার এসেছিল। আমরা তাদের লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। এখন পর্যন্ত তারা কোনো লিখিত অভিযোগ থানায় জমা দেননি। তারপরও বিষয়টি আমরা খোঁজ নিয়ে দেখছি।
মন্তব্য করুন