রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় জাল ভোট দেওয়ার ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার ঘটনায় হামিম হোসেন নামে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বুধবার (৮ মে) উপজেলার দেওপাড়া ইউনিয়নের মনিগ্রামে অবস্থিত একটি কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে। আটক হামিম হোসেন গোদাগাড়ী উপজেলার নিমতলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোট দেন।
পুলিশ জানায়, বুধবার দুপুর ২টার দিকে ‘এমডি হামিম হোসেন এসপি’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে জাল ভোট দেওয়ার ভিডিওটি আপলোড করা হয়। ফেসবুকে পোস্ট করার সঙ্গে সঙ্গে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে যায়।
৪৯ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ৩টি চেয়ারম্যান, ৩টি মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩টি ভাইস চেয়ারম্যানের ব্যালটে একজন সিল মারছেন। ভোটদানকারী চেয়ারম্যান পদের বেলাল উদ্দিন সোহেলের দোয়াত-কলম মার্কাসহ অন্যান্য পদের পছন্দের প্রার্থীদের প্রতীকে সিল মারেন।
এদিকে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়লে অপর চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ওই কেন্দ্রে ভোট বাতিলের দাবি জানিয়ে বলেন, একজন ভোটার ভোটকক্ষে ঢুকে চেয়ারম্যান পদের তিনটা ব্যালট পেপারে জাল ভোট দেন। এটা দেওপাড়া ইউনিয়নের প্রতিটি কেন্দ্রে ঘটেছে। তাই দেওপাড়া ইউনিয়নের নির্বাচন বাতিল চেয়ে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তাসহ জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে গোদাগাড়ী থানার ওসি আব্দুল মতিন বলেন, ‘হামিমসহ আরও একজন কেন্দ্রে একসঙ্গে প্রবেশ করেছিলেন। নিজে ভোট দিতে গিয়ে ভোটগ্রহণের গোপন কক্ষের ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুকে ভাইরাল করা হয়। পরে একজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।’
রাজশাহী জেলা প্রশাসক শামীম আহম্মেদ বলেন, একসঙ্গে তিনজন ভোটগ্রহণের গোপন কক্ষে প্রবেশ করে তাদের ভোট দেয়। তারা কোনো ব্যালটের বান্ডিল নিয়ে যায়নি। তবে এটি একটি অপরাধ। এছাড়াও তারা কীভাবে একসঙ্গে ৩ জন প্রবেশ করল সেটিও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি প্রিসাইডিং অফিসার ও সহকারী প্রিসাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তবে তারা এটি অন্যায় করেছে। কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন