পূর্ব পুরুষরা একসময় জমিদার থাকলেও ভাগ্যের পালাবদলে অট্টালিকা থেকে রাস্তায় এসে দাঁড়াতে হয় পরিবারটিকে। ১০ বছর আগেও যাদের নুন আনতে পানতা ফুরাত আজ তারা কোটিপতি। তবে ভাগ্যের চাকা ঘোড়াতে পরিশ্রমই একমাত্র হাতিয়ার হিসেবে কাজ করে সে বিষয়টি আরেকবার প্রমাণ করেছেন বরগুনার এক যুবক।
পাথরঘাটা উপজেলার রায়হানপুর ইউনিয়নের চড়কখোলা গ্রামের আলমগীর হোসাইনের ছেলে বেলাল হোসাইন। ফ্রিল্যান্সিং করে আজ তিনি প্রতিষ্ঠিত এক যুবক। গ্রামের বাড়িতে তুলেছেন পাকা বাড়িও। তার এমন সফলতায় উদ্বুদ্ধ হচ্ছে স্থানীয় শিক্ষিত বেকার যুবকরা।
জানা যায়, বেলাল হোসাইন ছোটবেলা থেকেই আর্থিক অভাব অনটনের মধ্য দিয়ে বড় হয়েছেন। এক সময় তিন-বেলা খাবার খেতেও কষ্ট হতো তাদের। একটু সচ্ছলতার জন্য বাবা-মায়ের সঙ্গে ঢাকায় পাড়ি জমান বেলাল। একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার সাইন্সে ডিপ্লোমা শেষ করেন তিনি। শিক্ষাজীবন থেকেই কম্পিউটারের ওপর বিশেষ ঝোঁক থাকায় পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি করতেন তিনি।
বাবার কিনে দেওয়া কম্পিউটার দিয়েই ফ্রিল্যান্সিং জগতে প্রবেশ করেন বেলাল হোসেন। মাত্র ১০ ডলার উপার্জন দিয়ে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করে একসময় বেশ ভালো আয় হতে থাকে তার। ২০২০ সালে চাকরি ছেড়ে দিয়ে শুধু ফ্রিল্যান্সিং শুরু করেন তিনি। আয় ভালো হওয়া শুরু হলে শহর ছেড়ে পরিবার নিয়ে চলে আসেন গ্রামের বাড়িতে।
স্থানীয়রা বলছেন, বেলালের আগ্রহ ও অনুপ্রেরণায় শিক্ষিত হচ্ছে এলাকার ছেলেমেয়েরা। বেলালের মতো তারাও ঘরে বসে আয় করছেন ফ্রিল্যান্সিং করে।
বেলাল হোসেন নিজে প্রতিষ্ঠিত হয়ে এলাকার শিক্ষিত বেকার ছেলেমেয়েদের উদ্বুদ্ধ করছেন স্বাবলম্বী হওয়ার জন্য। তার এমন মহতী কাজে আত্মীয়-স্বজন থেকে শুরু করে খুশি এলাকাবাসী।
মন্তব্য করুন