লালমনিরহাট কালীগঞ্জের তিস্তা নদীর বালুচরে এবার মিষ্টি কুমড়ার বাম্পার ফলন হয়েছে। এ চরের মিষ্টি কুমড়ার স্বাদ বেশি হওয়ায় সারা দেশে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে এ চরের মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করা হয়।
চরের কয়েকজন কৃষক জানান, খেতেই কুমড়ার কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ১৬ টাকায়। প্রতিটি কুমড়া ওজন ভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৮০ টাকায়। চরের কুমড়ার চাহিদা ভালো। এ বছর কুমড়ার ফলন হওয়ায় দামও ভালো পাচ্ছি। উপজেলা কৃষি অফিস কৃষকদের বিভিন্ন পরামর্শ ও সহযোগিতা করেছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বর্ষার বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে ধু-ধু বালুচরে পরিণত হয় তিস্তা নদী। তিস্তার বালুচরে ফসল ফলানো বেশ কষ্টসাধ্য ব্যাপার হলেও অক্লান্ত পরিশ্রম করে বালুচরে কুমড়া চাষ করছেন চাষিরা। চরাঞ্চলের বালুতে মিষ্টি কুমড়ার চাষাবাদে খরচ কম এবং ফলন বেশি হওয়ায় এ ফসলে বেশি আগ্রহী ওঠেন চাষিরা। লালমনিরহাট কালীগঞ্জ উপজেলায় রয়েছে অনেক চর। এ বছর চরে ১০৫ হেক্টর জমিতে কুমড়া চাষ হয়েছে। তিস্তার বালুতে মিষ্টি কুমড়া ভালো ফলনে চরবাসীর মুখে ফুটেছে হাসি।
উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে ১০০ প্রান্তিক চাষি নিয়ে ১০৫ হেক্টর বালুচরে মিষ্টি কুমড়ার চাষ করা হয়। নভেম্বর থেকে ডিসেম্বরের মধ্যে মিষ্টি কুমড়া রোপণ করে তা এপ্রিলের শেষে ক্ষেত থেকে তোলা শুরু হয়েছে। চাষিরা তাদের পাকা মিষ্টি কুমড়া ক্ষেত তুলে বিক্রির জন্য নদী পাড়ে স্তূপ করে রাখছেন। পাইকারি ব্যবসায়ীরা সারা দেশ থেকে এসে কুমড়া কিনে নিয়ে যান এখান থেকে।
কালীগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা তুষার কান্তি রায় কালবেলাকে বলেন, তিস্তার বালুর চরে মিষ্টি কুমড়ার ভালো ফলন হয়। ফলন ভালো হওয়ায় কৃষকরাও খুশি। দাম ভালো হওয়ায় কৃষকরা লাভবান হবেন। চাষের উপকরণ সহায়তা প্রদান শীর্ষক উপপ্রকল্পের আওতায় ১০০ জন চাষি ১০৫ হেক্টর জমিতে কুমড়া চাষ করেছে। তাদের বীজ, রাসায়নিক সার প্রদানসহ পোকামাকড় দমনে নানা উপকরণ সহায়তা করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন