বগুড়ার শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন মা, ছেলে ও নাতি। নির্বাচনে একই পদে একই পরিবারের তিন সদস্য প্রার্থী হওয়ায় বিষয়টি এলাকায় আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
এই তিন প্রার্থী হলেন, বয়োবৃদ্ধ নারী ফাতেমা বেগম, তার ছেলে বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু এবং তার নাতি হুসাইন শরীফ সঞ্চয়।
এই তিনজনের বাইরে অপর প্রার্থী হলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, আগামী ২৯ মে তৃতীয় ধাপে বগুড়ার তিনটি উপজেলা যথাক্রমে সদর, শাজাহানপুর ও শিবগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
এই ভোটকে কেন্দ্র করে বিগত কয়েক মাস ধরে এলাকায় সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ রিজু ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা।
এ কারণে সর্বমহলে প্রচার হয় যে, শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাচনে ওই দুজনই প্রার্থী হচ্ছেন। কিন্তু গত ২ মে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন তালিকা প্রকাশ হলে জানা যায়, সেখানে প্রার্থী হয়েছেন ৪ জন। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান রিজু ও আওয়ামী লীগ সভাপতি মোস্তার বাইরে অপর দুজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ফাতেমা বেগম হলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রিজুর মা এবং হুসাইন শরীফ সঞ্চয় হলেন তার ভাগ্নে। সঞ্চয়ের আর এক পরিচয় হলো, বগুড়া-২ (শিবগঞ্জ) আসনের সংসদ সংসদ ও জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শরিফুল ইসলাম জিন্নাহর ছেলে। এ ছাড়া জেলা জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন সঞ্চয়।
সঞ্চয় তার মনোনয়নপত্রে যে মোবাইল ফোন নম্বর দিয়েছেন তাতে ফোন দিলে সেটি ধরেন শিবগঞ্জ উপজেলার রায়নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম শফি। তিনি সঞ্চয়ের প্রতিনিধি হিসেবে নিজেকে উল্লেখ করেন। সঞ্চয় তার কাছে নেই জানিয়ে তিনি অপর একটি মোবাইল নম্বর দেন। সেটিতে ফোন দিয়ে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
মা ও ভাগ্নের মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার কারণ জানতে চাইলে ফিরোজ আহমেদ রিজু বলেন, প্রতিপক্ষ নির্বাচনের আগে থেকেই এলাকায় প্রচার চালিয়ে আসছিল আমার ব্যাংক ঋণের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনে অভিযোগ দাখিল করবেন। কারণ ব্যাংকের ঋণ সমন্বয় করা ছিল না। এ কারণে সাপোর্টিং হিসেবে মা ও ভাগ্নেও মনোনয়নপত্র উত্তোলন করে। যদিও আমার ব্যাংকের ঋণ ইতোমধ্যে সমন্বয় করা হয়েছে, তারপরও তাদের নামে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করায় তা জমা দেওয়া হয়েছে। তবে তারা ভোটের মাঠে শেষ পর্যন্ত থাকবেন না বলে জানান রিজু।
মন্তব্য করুন