রাজবাড়ীর পাংশায় ইটভাটায় প্রকাশ্যে অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। দিন দিন কৃষিজমি চলে যাচ্ছে ভাটা মালিকদের দখলে। ইটভাটায় মাটিবাহী ভারী যান চলাচলে নষ্ট হচ্ছে গ্রামীণ সড়ক। ইটভাটার ধোঁয়ায় দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এসব যেন দেখার কেউ নেই।
সরেজমিনে দেখা যায়, পাংশা উপজেলায় মোট ১৫ থেকে ১৭টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি বন্ধ রয়েছে। বেশিরভাগ ইটভাটা চালু। প্রায় প্রতিটি ভাটার পাশেই রয়েছে কৃষিজমি। অধিকাংশ ভাটায় কয়লা দিয়ে ইট পুড়ালেও কয়েকটি ভাটায় প্রকাশ্যে পুড়ানো হচ্ছে কাঁঠ। ভাটার বৈধ কাগজপত্র আছে দাবি করলেও, তা দেখাতে পারেননি ভাটার মালিকপক্ষরা। তাদের দাবি, ভাটায় কাঠ পুড়ানোর ঘটনা নতুন নয়, বিষয়টি প্রশাসনও জানে।
উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়নের সুবর্ণখোলা গ্রামের ভাটা এলাকার এক কৃষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের এলাকায় কোনো ইটভাটা ছিল না। তিন বছর হলো এখানের কৃষি জমিতে একটি ভাটা হয়েছে। ফলে ধিরে ধিরে আমাদের কৃষি জমিতে ফসল কমতে শুরু করেছে। ভাটার মালিক অনেক কৃষি জমিও নিয়ে গেছে।
বাহাদুরপুর ইউনিয়নের ভাটা এলাকার মো. কমির নামের এক ব্যক্তি জানান, দুইটা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের মাঝখানে কীভাবে ইটভাটা চলে, তা আমাদের জানা নেই। ভাটায় প্রকাশ্যে কাঠ পুড়িয়ে পরিবেশ দূষণ করা হচ্ছে, দেখার কেউ নেই।
যশাই ইউনিয়নের ভাটা এলাকার বাসিন্দারা জানান, ইটভাটায় মাটিবাহী ভারী যান চলাচলের কারণে এলাকার রাস্তাগুলো ভেঙে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। প্রশাসনের কোনো নজর নেই।
এ বিষয়ে উপজেলা পরিবেশ ও বন বিভাগে গিয়ে কোনো কর্মকর্তাকে পাওয়া যায়নি। উপজেলা পরিবেশ ও বন বিভাগের কর্মকর্তা আজিজুল ইসলামের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।
ফরিদপুর পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. হারুন অর রশিদ জানান, তিনি রাজবাড়ী জেলা সদর, বালিয়াকান্দি ও গোয়ালন্দ উপজেলায় অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন। পাংশা উপজেলার ইটভার বিষয়ে ইতোমধ্যে অবগত হয়েছেন। অভিযান পরিচালনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।
মন্তব্য করুন