ঝিনাইদহ-১ (শৈলকুপা) আসনের উপনির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না হিরো আলম। ব্যাকআপ না পাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন আলোচিত এ কনটেন্ট ক্রিয়েটর। শুক্রবার (৩ মে) মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিরো আলম।
এর আগে সোমবার (২৯ এপ্রিল) হিরো আলম বলেছিলেন, আমি ঝিনাইদহ-১ আসনের লোকজনের সঙ্গে বলেছি, তারা আমাকে বলেছেন, তারা সবাই আমাকে চেনেন। আমি তাদের কাছে প্রিয় এবং পরিচিত মুখ। তারাও চান আমি এ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি। সেখানকার জনসাধারণ আরও বলেছেন, নির্বাচনে তারা সাহায্য-সহযোগিতা করবেন। আমি আমার প্রতি তাদের ভালোবাসা দেখে সেখানে উপনির্বাচনে অংশ নিতে রাজি হয়েছি। আমিও তাদের আশ্বাস দিয়েছি, তাদের পাশে সবসময় থাকব। আমি সৎ এবং সাহসী মানুষ। সবাই চান আমি যেন সংসদ সদস্য হয়ে সবার কথা বলি। সবার পাশে থাকি। তাই ঝিনাইদহ-১ আসনের উপনির্বাচনে অংশগ্রহণ করব। সেইভাবে প্রস্তুতি চলছে আমার।
এ সংবাদ প্রচার হওয়ার পরপরই শৈলকুপার সর্বত্র শুরু হয় তুমুল আলোচনা। আজ শুক্রবার হিরো আলম উপনির্বাচনের কাজে ঝিনাইদহে আসবেন বলে তথ্য ছড়িয়ে পড়ে। সকালে শহরের বিভিন্ন স্থানে অনেককেই অপেক্ষা করতে দেখা গেছে হিরো আলমকে এক নজর দেখার জন্য। কিন্তু সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়ে যায়, হিরো আলম আর আসেন না। ভক্তরা তাকে ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।
বিকেলে হিরো আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, নির্বাচনের কাজে ঝিনাইদহে যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু পরে চিন্তা-ভাবনা করে আর যাইনি। ভোট করা কোনো বিষয় না, যে কোনো জায়গা থেকেই ভোট করা যায়। ভোট করতে গেলে এলাকায় ব্যাকআপ লাগে। ব্যাকআপ ছাড়া ভোট করব কীভাবে?
হিরো আলম বলেন, সবাই তো খালি আমাকে ফোন দিয়ে আওয়ামী লীগের পরিচয় দেয় আর বলে, আমি আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সভাপতি, সেক্রেটারি, সভাপতি, চেয়ারম্যান, ওমক-তমক; দুনিয়ার পরিচয় দিয়ে ফোন দিতে থাকে। আর তারা বলে, আসেন ভোট করেন, আমরা আছি। কিন্তু ভোট করতে হলে তো ব্যাকআপ লাগে। দুই একজন তো বলবে আসেন, এলাকায় ভোট করেন, যা লাগে আমরা দেখব—এমন কাউকেই পাচ্ছি না।
মন্তব্য করুন