মঙ্গলবার, ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ২৩ পৌষ ১৪৩১
ঝিনাইদহ ব্যুরো
প্রকাশ : ০২ মে ২০২৪, ০৯:১২ পিএম
আপডেট : ০২ মে ২০২৪, ১১:১৫ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

মুক্তিযোদ্ধার ৩০ হাজার টাকার পানির বিল হয়েছে ১৭ লাখ টাকা!

বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়গুন নেছা। ছবি : কালবেলা
বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়গুন নেছা। ছবি : কালবেলা

ঝিনাইদহের বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়গুন নেছার বাড়ির পানির বিল এসেছে ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮৬৬ টাকা। বিপুল পরিমাণ পানির বিল নিয়ে চোখে অন্ধকার দেখছেন তিনি। কীভাবে এই সুদাসল বিল পরিশোধ করবেন তা ভেবে পাচ্ছেন না তিনি। জয়গুন নেছা ঝিনাইদহ শহরের কাঞ্চননগর পাড়ার শহীদ গোলাম নবী সড়কের হাবিবুর রহমানের স্ত্রী।

জানা যায়, ২০১৯ সালে সরকার তাকে বীরঙ্গনা খেতাব দিয়ে মুক্তিযোদ্ধার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করে। স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় পাক বাহিনীর হাতে জয়গুন নেছা পাশবিক নির্যাতনের শিকার হন। তার যুবতী কন্যা ও স্বামীকে হানাদার বাহিনী তুলে নিয়ে হত্যা করে।

বৃদ্ধা জয়গুন নেছা জানান, তার বাড়িতে পয়েন্ট ৭৫ ব্যাসার্ধের পানি সরবরাহের লাইন রয়েছে। প্রতি মাসে তার বিল আসে ২৫০ টাকা। কতদিন আগে তার পানি সরবরাহের সংযোগ নিয়েছেন তার স্মরণ নেই। তবে ১৫ বছর হবে বলে তিনি জানান। সেই হিসাব ধরলে বছরে তার পানির বিলের পরিমাণ দাড়ায় ৩ হাজার টাকা। এখন ১৫ বছরে মোট বিল হয় ৪৫ হাজার টাকা হওয়া কথা।

এদিকে ঝিনাইদহ পৌরসভার পানি সরবরাহ বিভাগ সূত্রে বলা হয়েছে জয়গুন নেছার মূল পানির বিল ৩০ হাজার ১২০ টাকা। বাকি টাকা চক্রবৃদ্ধি হারে যে সুদ হয় সেটা বিলের সঙ্গে যোগ হয়ে এই বিপুল অঙ্ক দাঁড়িয়েছে।

ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দীন জানান, ২০১৭ সালে এটুআই প্রজেক্টর সফটওয়ারের আওতায় বিল প্রস্তুত করা হয়। সেখানে যেভাবে সফটওয়ার তৈরি হয়েছে তাতে জয়গুন নেছার মূল বিলের সঙ্গে প্রতি মাসে ৮১ হাজার ৫৫৩ টাকার সুদ যোগ হচ্ছে। বছর বছর সেটা আবার চক্রবৃদ্ধি হারে বাড়ছে। এটা পৌরসভার কোনো ভুল নয়, বরং সফটওয়ারে চক্রবৃদ্ধি হারে যে সুদ হচ্ছে সেটাই তার পানির বিলে যোগ হচ্ছে।

তিনি জানান, জয়গুন নেছা ২০১৪ সাল থেকে পানির বিল দেন না। তিনি সুদ ও আসল মওকুফের আবেদন করলে ভেবে দেখা হবে। বয়সের ভারে ন্যুয়ে পড়া বীর মুক্তিযোদ্ধা জয়গুন নেছার বিল নিয়ে কোনো অভিযোগ না থাকলেও পৌরসভায় গিয়ে তিনি পানির বিল মওকুফের জন্য কার কাছে যাবেন তা ভেবে পান না। ফলে এখানে সেখানে ঘুরে চলে আসেন।

তিনি আরও জানান, সরকার প্রতি মাসে যে ভাতা দেন তার মধ্যে থেকে ঋণ বাবদ ১৪ হাজার টাকা কেটে নেয়। প্রতি মাসে পান মাত্র ৬ হাজার টাকা। এই অল্প টাকা দিয়ে এই বিপুল পরিমাণ পানির বিল পরিশোধ করার মতো সাধ্য তার নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

বিএনপি ক্ষমতায় আসলে কৃষকের মুখে হাঁসি থাকবে : হাসান জাফির তুহিন

গণতন্ত্র এখনো ফিরে আসেনি : আব্দুস সালাম

জবি প্রক্টরের গাড়িতে হামলার প্রতিবাদ শিক্ষক সমিতির

খালেদা জিয়ার লন্ডন যাত্রা / সুশৃঙ্খলভাবে বিদায় জানাতে নেতাকর্মীদের বিশেষ নির্দেশনা

‘ঘুম থেকে উঠে দেখি মেজর ডালিম হয়ে গেছি’

খালেদা জিয়ার বিদেশ যাত্রার আগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠক 

২৫তম বিসিএস হেলথ ক্যাডার ফোরামের যাত্রা শুরু

জাতীয় নির্বাচনের আগে ছাত্রসংসদ নির্বাচনের দাবি নুরের

‘এখানে আমাদের বাপ-দাদাদের জমি আছে, যেকোনো মূল্যে কোটা ফেরত চাই’

শিবির থাকায় অনুষ্ঠান বর্জন ছাত্রদলের

১০

শিবিরকে ফাঁসাতে ছাত্রদল কর্মীর কাণ্ড

১১

৪০ হাজার মানুষের ভরসা নৌকা ও বাঁশের সাঁকো

১২

বন্যার কবলে ভিটেমাটি হারিয়ে পাঁচ মাস ধরে তাঁবুর নিচে তারা

১৩

ভয়ংকর সব যুদ্ধজাহাজ সাগরে নামাতে যাচ্ছে তুরস্ক

১৪

সাতক্ষীরায় মহিষের আক্রমণে আহত ৬

১৫

কাজ না পাওয়ার আশঙ্কায় বিএমডিএর পিডিকে লাঞ্ছিত, আসবাবপত্র ভাঙচুর

১৬

চট্টগ্রামে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ

১৭

সড়কের ইট তুলে নিলেন আ.লীগ নেতা, এলাকায় উত্তেজনা

১৮

জুলাই ঘোষণাপত্রে ৭ বিষয় অন্তর্ভুক্ত করার দাবি বৈষম্যবিরোধীদের

১৯

সাইকেল চালিয়ে বাংলাদেশে এলেন পর্তুগিজ তরুণী

২০
X