চিকিৎসা সেবাকে সাধারণ মানুষের আস্থার জায়গায় পরিণত করার আহবান জানিয়েছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদমন্ত্রী আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, অনেক উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে একজন ডাক্তারকে নানা প্রতিকুলতার মধ্য দিয়ে রোগীদের চিকিৎসা দিতে হয়। অনেক সময় অনেক কিছুর সংকট থাকে, তারপরও তারা চিকিৎসাসেবা দিয়ে থাকেন। আরও আন্তরিকভাবে রোগীদের সেবা দেওয়ার আহবান জানান। চিকিৎসাসেবাকে সাধারণ মানুষের একটা আস্থার জায়গায় তৈরি করার জন্য আপনাদের আরও কাজ করতে হবে।
বুধবার (১ মে) দুপুরে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ অডিটোরিয়ামে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের (স্বাচিব) সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী বলেন, আজ অবধি শেখ হাসিনার একজন নিঃস্বার্থ পাহারাদার আমি। যতদিন পাহারাদারের কাজ করছি, ততদিন ধরে ঠিকমতো চোখেও ঘুম আসে না। আর যতদিন বেঁচে আছি ততদিন শেখ হাসিনা ও দলের পাহারাদার হয়েই বেঁচে থাকতে চাই। আব্দুর রহমান বলেন, ফরিদপুরে বঙ্গবন্ধুর অনেক পদচিহ্নের সৃতি রয়েছে। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য সংগ্রাম করতে গিয়ে দীর্ঘসময় ফরিদপুর কারাবাসে ছিলেন। তারপরও বঙ্গবন্ধুর নামে ফরিদপুরে কোনো প্রতিষ্ঠান ছিল না। প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি হস্তক্ষেপে এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজটিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ নামে নামকরণ করতে পেরেছি। এখন এই মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে একটি বার্ন ইউনিট স্থাপন করার চেষ্টা করা হবে। সেই বিষয়ে ইতোমধ্যেই স্বাস্থ্য মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছি। ফরিদপুরে মুজিব বিশ্ববিদ্যালয় নামে একটি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ও প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে আমার।
মেডিকেল কলেজের ছাত্রছাত্রীদের উদ্দ্যেশে মন্ত্রী বলেন, মেধামননে যারা সর্বোত্তম, তারাই পারে সর্বোচ্চ স্থানে পৌঁছাতে। এইচএসসি শেষ করে ডা. হতে একজন ছাত্রকে শিক্ষা জীবনে দীর্ঘ সময় পার করতে হয়।
তিনি বলেন, কীভাবে এই প্রতিষ্ঠানটিকে সবকিছুতেই স্বয়ংসম্পন্ন করতে আপনাদের যার যা দায়িত্ব আছে তা আন্তরিকভাবে চালিয়ে যান। ভালো কিছু করতে গিয়ে আমাকে সব সময় আপনারা পাশে পাবেন।
মন্ত্রী বলেন, স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় এই কৃষক শ্রমিকরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে দেশ স্বাধীনের কাজে অন্যদের সঙ্গে যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। শ্রমিকরাই পারে দেশের অর্থনীতির চাকা ঘুরিয়ে দিতে।
স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ (স্বাচিব) ফরিদপুর জেলা শাখার আয়োজনে সংগঠনের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা ডা. এম এ জলিলের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ড. মো. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, মহাসচিব অধ্যাপক ডা. মো. কামরুল হাসান (মিলন), ফরিদপুর আ. লীগের সভাপতি শামীম হক, সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ, সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য ঝর্ণা হাসান, স্বাচিবের রাজবাড়ী জেলা শাখার আহবায়ক ডা. পারিজাত পাল, সদস্য সচিব ডা. কমল কুমার দাস, স্বাচিবের শরীয়তপুর জেলা শাখার সভাপতি ডা. ওহাব হাওলাদার, সাধারণ সম্পাদক ডা. হারুন অর রশিদ, স্বাচিবের ফরিদপুর শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ডা. আ স ম জাহাঙ্গীর চৌধুরী টিটো, সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব ডা. গণপতি বিশ্বাস দত্ত প্রমুখ।
মন্তব্য করুন