লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় বারি ৯০ অ্যালুয়েট জাতের আলু চাষ করে বাজিমাত করেছেন মোকছেদুল হক ভুট্টু নামের এক কৃষক। প্রতিটি আলুর ওজন প্রায় চার থেকে পাঁচশ’ গ্রাম। প্রতি শতকে চার থেকে পাঁচ মণ আলু চাষ করে তাক লাগিয়েছেন তিনি। কৃষক মোকছেদুল হক ভুট্টুর বাড়ি উপজেলার ফকিরপাড়া ইউনিয়নের পশ্চিম ফকিরপাড়ায়।
সরেজমিনে দেখা গেছে, কৃষক মোকছেদুল হক ভুট্টু মাত্র ৬০ শতক জমিতে বারি ৯০ অ্যালুয়েট জাতের আলু চাষ করেন। প্রচুর পরিমাণে ফলন হয়েছে। ফলন ভালো হওয়ায় আলু তোলার সময় ওই এলাকার অন্য কৃষকরা আলু ক্ষেত দেখতে আসছে। আলুর ফলন বাম্পার হওয়ায় খুবই খুশি ওই কৃষক।
এ সময় আলু চাষিরা জানান, গত বছরে প্রচুর আলু হয়েছিল। কিন্তু দাম কম ছিল। এ বছর আলুর সাইজ বড় হলেও ফলন কম, তবে দাম বেশি।
হাতীবান্ধা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছর রবি মৌসুমে আলু আবাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৬৩০০ হেক্টর জমি, চাষ হয়েছে ৬৪০০ হেক্টর জমিতে। গতবছর আলুর দাম বেশি পাওয়ায় অধিক লাভের আশায় আলু চাষে ঝুঁকছেন কৃষকরা। আলু চাষে অধিক মুনাফা অর্জনের স্বপ্ন দেখছেন প্রান্তিক চাষিরা। আলু চাষে আগ্রহ বাড়ছে চাষিদের।
আলু চাষি মোকছেদুল হক ভুট্টু বলেন, ৬০ শতক জমিতে বারি ৯০ অ্যালুয়েট জাতের আলু লাগিয়েছি। একটি করে আলুর ওজন ৪০০ গ্রামের উপরে। আমি আলু চাষ করে খুবই খুশি আগামীতে আরও বেশি জমিতে আলু চাষ করব।
আলু দেখতে আসা রেজাউল করিম বলেন, জমিতে প্রচুর পরিমাণে আলু চাষ হয়েছে। প্রতিটি আলুর সাইজ বড় বড় আমরা আলু দেখতে এসেছি। এত বড় বড় আলু এই এলাকায় আর কখনো দেখিনি।
হাতীবান্ধার কৃষি উপ-পরিদর্শক লতিফুল বারি বলেন, এই জাতের আলু ৮০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে পাওয়া যায়। ওই কৃষক এবছর প্রতি বিঘা (২৭ শতক) আলু চাষ করে ১০১ মণ আলু পেয়েছে। এই আলুতে কোনো স্প্রে লাগে না। রোগবালাইও কম, ভালো ফলন পাওয়ার সম্ভব।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা কৃষি অফিসার সুমন মিয়া বলেন, বারি ৯০ অ্যালুয়েট জাতের আলু বীজ গবেষণাগার থেকে প্রথম ওই জমিতে চাষ করে ভালো ফলন পাওয়া গেছে। এতে কৃষকরা উৎসাহিত হবেন। এই জাতের আলু প্রতি বিঘা ১১০ থেকে ১২০ মণ আলু পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। আলু চাষিদের কৃষি অফিস থেকে সব সময় সহযোগিতা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন