পরপর দুদিন সর্বোচ্চ ৪২ দশমিক ৭ ডিগ্রির পর এবার কমেছে চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা। রোববার (২৮ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ১৯ শতাংশ। তবে বাতাসের আদ্রর্তা বেশি অর্থাৎ বাতাসে জলীয় বাষ্পের পরিমাণ অনেক বেশি থাকার কারণে ভ্যাপসা গরম অনুভূত হচ্ছে।
চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের ইনচার্জ মো. জামিনুর রহমান বলেন, ‘এ জেলায় তীব্র তাপদাহ চলছে। তাপমাত্রা আজ সামান্য কমেছে। তবে আগামীতে বাড়তে পারে। মে মাসের কালবৈশাখী ঝড় ও বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে।’
চুয়াডাঙ্গা জেলা তীব্র তাপপ্রবাহে জনজীবন অস্থির হয়ে উঠেছে। অতি তাপদাহে অতিষ্ট হয়ে উঠেছে মানুষ ও প্রাণীকূল।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তীব্র রোদের কারণে শ্রমিক, দিনমজুর, রিকশা-ভ্যান চালকরা কাজ করতে না পেরে অনাহারে দিন পার করছেন। একটু প্রশান্তির খোঁজে গাছের ছায়া ও ঠান্ডা পরিবেশে স্বস্তি খুঁজছে স্বল্প আয়ের মানুষ। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে রাস্তাঘাটে লোকজনের চলাচল সীমিত হয়ে পড়ছে। আবার অনেকে জরুরি প্রয়োাজন ও জীবন-জীবিকার তাগিদে প্রচণ্ড তাপপ্রবাহ উপেক্ষা করে কাজে বের হচ্ছেন। তবে রোদের এত উত্তাপ যে মাথা ঘুরে যাচ্ছে। হিটস্ট্রোকে অনেকেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।
এদিকে তীব্র দাবদাহের মধ্যে রোববার জেলার স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসাগুলোতে পুরোদমে ক্লাস হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কম ছিল। চলমান তীব্র দাবদাহে স্কুল খোলার সিদ্ধান্তে মিশ্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন জেলার অভিভাবকরা।
এদিকে শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেল ৩টায় এ জেলায় তাপমাত্রা রেকর্ড হয় ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শুক্রবার (২৬) এপ্রিল ছিল ৪২ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) ছিল ৪২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
মন্তব্য করুন