নাটোরে অগ্নিকাণ্ডে দরিদ্র ৫ পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৫টি বসতঘর, ৫টি রান্না ঘরসহ ১টি গোয়াল ঘর একেবারেই পুড়ে ভস্মীভূত হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) দুপুর ১টার দিকে সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের লোচনগড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকাণ্ডে কৃষক আছের উদ্দিন, অটো রিকশাচালক আফজাল হোসেন, রিকশাচালক গোলাম রসুল, ভ্যানচালক আনোয়ার হোসেন ও মো. রাজুর বসতবাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ঘরে থাকা এসব পরিবারের নগদ টাকা, গহনা, আসবাবপত্র ও খাদ্যসামগ্রী পুড়ে যায়। দরিদ্র এই পরিবারগুলো শেষ সম্বলগুলো হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছেন।
নাটোর ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা গেছে, রান্নাঘরের চুলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। ভুক্তভোগী ৫ পরিবারের দাবি অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ১২ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর প্রতিবেশী বাচ্চু মিয়া বলেন, দুপুর ১টার দিকে হঠাৎ চিৎকার চেঁচামেচি শুনে দৌড়ে এসে দেখি দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। বাড়িগুলো ঘিঞ্জি হওয়ায় নিমৈষেই আগুন সবগুলো ঘরে ছড়িয়ে যায়। আগুনের এত তাপ, কেউ কাছে যেতে পারছিল না। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা এসে দুই ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভ্যানচালক আনোয়ারের স্ত্রী তিথি খাতুন বলেন, রান্না ঘরের আগুন থেকে গোয়াল ঘর হয়ে সব ঘরে ছড়িয়ে যায়। আমার স্বামী ভ্যান চালিয়ে সংসার চালায়। অনেক কষ্ট করে কিছু গহনা কিনেছিলাম। সেগুলোও আর পাচ্ছি না। ঘরে খাবারের যেগুলো ছিল ওগুলোও পুড়ে গেছে। ঘরের আসবাবপত্র, কাপড়-চোপড় সব পুড়ে গেছে। কিছুই আর রইল না।
স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাবুদ্দিন বলেন, ৫টি পরিবার আগে থেকেই হতদরিদ্র। আগুনে সবকিছু পুড়ে এরা একেবারে নিঃস্ব হয়ে গেল। পরনের কাপড় ছাড়া দরিদ্র ৫ পরিবারের আর কিছুই রইল না।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম রমজান সরকারি সহায়তায় ভুক্তভোগীদের বাড়ি করে দেওয়ার আশ্বাস দেন।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবু নাছের ভূঁঞা বলেন, খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার গেছেন। তাৎক্ষণিক ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে শুকনো খাবারসহ অন্যান্য ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন। নিয়ম অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে সরকারি সহায়তার আওতায় আনা হবে।
মন্তব্য করুন