চট্টগ্রামে ঐহিত্যবাহী জব্বারের বলীখেলা ও বৈশাখী মেলা ঘিরে বিশেষ নজরদারির কথা জানিয়েছে পুলিশ। রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুরে মেলার আয়োজক কমিটির সঙ্গে আলোচনা সভা শেষে এ কথা জানানো হয়। এর আগে পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
নগর পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে এ সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার (অপরাধ) মো. আশরাফুল করিম, কোতোয়ালি জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) অতনু চক্রবর্তী। মেলার আয়োজক কমিটির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন কাউন্সিলর জহর লাল হাজারী, সহসভাপতি চৌধুরী ফরিদ, সাধারণ সম্পাদক শওকত আনোয়ার, সাবেক কাউন্সিলর মুহাম্মদ জামাল হোসেন, তাপস দে প্রমুখ।
কোতোয়ালি থানার ওসি এসএম ওবায়েদুল হক জানান, সভায় পুলিশ কর্তৃক আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে বিভিন্ন সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত হলো- মেলাকে কেন্দ্র করে আয়োজক, ক্রেতা ও বিক্রেতারা যেন হয়রানি বা চাদাঁবাজির শিকার না হন সেদিকে পুলিশের নজরদারি বৃদ্ধি করা, চাঁদাবাজি সংক্রান্তে কোনো তথ্য পাওয়া গেলে তাৎক্ষণিক গ্রেপ্তারসহ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা এবং মেলা প্রাঙ্গণে পুলিশের পেট্রল বাড়ানো ইত্যাদি।
কাউন্সিলর জহুর লাল হাজারী বলেন, এখন মেলাটি আর নির্দিষ্ট মানুষের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। অনেক দূর-দূরান্ত থেকে ব্যবসায়ীরা এখানে আসেন। আগে মহিলারা মেলায় কম আসত। এখন সকালে যারা হাঁটতে বের হয় তারাও মেলায় এসে টুকিটাকি কেনাকাটা করেন। আবার দূর থেকে যেসব ব্যবসায়ী এখানে আসেন তারা যেন চাঁদাবাজি, চুরি, ছিনতাইয়ের শিকার না হন সেজন্য বিশেষ নজরদারির অনুরোধ করেছি। পাশাপাশি রাতে মেলায় পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
প্রতি বছর বৈশাখে চট্টগ্রাম লালদিঘীর মাঠে জব্বারের বলীখেলা অনুষ্ঠিত হয়। ২৫ এপ্রিল চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক লালদিঘী ময়দানে অনুষ্ঠিত হবে ঐতিহ্যবাহী আব্দুল জব্বারের বলীখেলার ১১৫তম আসর। মূল মেলা শুরু হবে ২৪ এপ্রিল থেকে, যা চলবে ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত। এবারের মেলায় অন্তত দেড় থেকে ২ হাজার স্টল বসতে পারে বলে জানিয়েছে আয়োজক কমিটি।
মন্তব্য করুন