রংপুর থেকে উত্তরের চার জেলার সঙ্গে ছয় দিন ধরে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। এতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন যাত্রীরা। দিনাজপুর ও রংপুর জেলা মালিক সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত রংপুর এবং সৈয়দপুর থেকে নীলফামারী, দিনাজপুর, পঞ্চগড় ও ঠাকুরগাঁও জেলার বাস চলাচল করছে।
সৈয়দপুর শহরের কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনালে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁও ও দিনাজপুর থেকে যেসব বাস গেটলক নামে সরাসরি রংপুরে চলাচল করত, সেগুলো সৈয়দপুরে সব যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে। সেগুলো সরাসরি যাচ্ছে না। রংপুরের গেটলক গাড়ি সৈয়দপুর টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে গন্তব্যে যাচ্ছে।
একইভাবে রংপুর থেকে ছেড়ে আসা আন্তঃজেলা কোনো বাস সৈয়দপুর ছেড়ে যাচ্ছে না। সেগুলোও সৈয়দপুর থেকে যাত্রী নিয়ে নীলফামারী, দিনাজপুর, ঠাকুরগাঁও এবং পঞ্চগড় যাচ্ছে। এতে করে চাপ বেড়েছে সৈয়দপুর বাস টার্মিনালে। ফলে দুর্ঘটনা বা অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা করছেন নীলফামারী জেলা বাস মিনিবাস মালিক সমিতি।
দিনাজপুর ও নীলফামারী বাস মালিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পঞ্চগড় থেকে রংপুর হয়ে বগুড়া ও রংপুর থেকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী হয়ে জয়পুরহাট পর্যন্ত গেটলক বাস চলাচলের কথা। কিন্তু রংপুরের নেতারা পঞ্চগড় থেকে বগুড়ায় বাস চলাচল করতে না দিয়ে রংপুর থেকে দিনাজপুরের ফুলবাড়ী হয়ে জয়পুরহাট রুটে তাদের বাস চলাচল করাতে চায়। এ নিয়ে দিনাজপুর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপ ও রংপুর মোটর মালিক সমিতির মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। এ দ্বন্দ্বের জেরে গত ১৪ এপ্রিল থেকে উভয় গ্রুপ গেটলক নামে সরাসরি বাস চলাচল বন্ধ করে দিয়ে সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল পর্যন্ত চলাচল করাচ্ছে। উভয় মালিক গ্রুপের বাস সৈয়দপুর বাস টার্মিনাল থেকে যাত্রী নিয়ে নিজ নিজ জেলা রুটে চলাচল করছে।
দিনাজপুর জেলা সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি ভবানী শংকর আগরওয়ালা বলেন, এ ঘটনার জন্য রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফতাবুজ্জামান লিপন সম্পূর্ণ দায়ী। তার হঠকারী সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের কারণে এমন নাজুক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে রংপুর জেলা মোটর মালিক সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আফতাবুজ্জামান লিপনের মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তিনি কল রিসিভ না করায় তার মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন