কুমিল্লার দেবিদ্বারে অক্সিজেন সিলিন্ডার দিয়ে পিটিয়ে একটি বেসরকারি হাসপাতালের আয়াকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার (১২ এপ্রিল) দিনগত রাত ৩টার দিকে পৌরসভার মা-মনি জেনারেল হাসপাতালের দ্বিতীয় তলায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহতের নাম শাহনাজ আক্তার মীম (৪৫)। তিনি পৌরসভার ভোষনা গ্রামের নেহাল কাজী বাড়ির মৃত মো. সেকান্দার আলীর মেয়ে।
নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালের মালিক মো. তাজুল ইসলাম সরকার ও কর্মচারী মো. হোসেন মিয়াকে আটক করেছে।
শনিবার (১৩ এপ্রিল) সন্ধ্যায় ভোষনা গ্রামের লোকজন একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে থানায় আসেন।
পুলিশ ও হাসপাতালের সূত্রে জানা গেছে, নিহত শাহনাজের মা বাবা, ভাইবোন কেউ নেই। তিনি বিয়েও করেননি। এ জন্য রাতে তিনি হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার একটি রুমে থাকতেন। রাত আনুমানিক ৩টার দিকে দুর্বত্তরা তাকে হাসপাতালের সিলিন্ডার দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ফ্লোরে ফেলে যায়। পাশেই রক্তমাখা সিলিন্ডার পড়ে ছিল। শাহনাজের কারও সঙ্গে কোনো শত্রুতা নেই। তবে হাসপাতালের নিচে মা মনি ফার্মেসীর মালিক মো. বাবুল মিয়ার সঙ্গে তার কিছু আর্থিক লেনদেন ছিল।
৮নং ওয়ার্ডের কমিশনার মো. মুজিবুর রহমান বলেন, নিহত শাহনাজ সম্পর্কে আমার জেঠাত বোন। তিনি কারও সঙ্গে কোনোদিন ঝগড়া-বিবাদ করেনি। তাকে কে বা কারা মেরেছে জানি না। এ ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে।
মা-মনি জেনারেল হাসপাতালের মালিক মো. তাজুল ইসলাম সরকার বলেন, শাহনাজ অত্যান্ত সহজ সরল প্রকৃতির মানুষ। তার মামাদের সঙ্গে জমি বিক্রির টাকা নিয়ে মনোমালিন্য হয়েছে জানতে পেরেছি। তবে কারা তাকে মেরে ফেলে গেল বুঝতে পারছি না।
হাসপাতালে সিসি ক্যামেরা আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে ছিল এখন সব নষ্ট হয়ে গেছে।
দেবিদ্বার থানার ওসি মো. নয়ন মিয়া বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। নিহত শাহনাজের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাসপাতালের মালিক ও এক কর্মচারীকে আটক করা হয়েছে, ঘটনার তদন্ত চলছে।
মন্তব্য করুন