‘বাবা-মা পারলে খমা (ক্ষমা) করে দিও, আমি মরার পর আমার বউ মেয়েকে দেখে রেখ। আমি জানি, আমার বউ আমার সাথে রাগ করেছে। ঈদের জন্য সবাই গুছ (মাংস) খাইছে কিন্তু আমি গুছ (মাংস) খাওয়াতে পারিনি। আমি আমার বয়ের (বউয়ের) মুখ ঈদের দিন বেজার দেখলাম, যদি পারো খমা (ক্ষমা) করে দিও।’
কথাগুলো চিঠিতে লিখে আত্মহত্যা করেছেন হাসান আলী নামের এক যুবক।
শুক্রবার (১২ এপ্রিল) সকালে জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের বান্দের পাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত হাসান আলী ওই গ্রামের রহমত আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, নিহত হাসান আলী প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার রাতে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে যান। শুক্রবার শ্বশুরবাড়ি গিয়ে স্ত্রী আফরোজা বেগমকে নিজ বাড়িতে নিয়ে আসার কথা ছিল হাসানের। সকাল ১১টা পর্যন্ত শ্বশুরবাড়িতে না যাওয়ায় তার স্ত্রী আফরোজা বেগম পাশের গ্রাম জোলা পাড়া থেকে স্বামীর বাড়িতে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখতে পান। এ সময় তিনি ঘরের বেড়ার ফাঁকা দিয়ে হাসান আলীকে ঘরের ধরনার সঙ্গে ঝুলতে দেখে চিৎকার শুরু করেন। স্থানীয়রা জানতে পেরে পুলিশে খবর দেয়। খবর পেয়ে বকশিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহটি উদ্ধার করে।
এ সময় মরদেহের পাশে একটি চিঠি পাওয়া যায়। নিজের স্ত্রীকে মাংস কিনে দিতে না পারায় আত্মহত্যা করেছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করেন তিনি।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল আহাদ খান জানান, চিঠি লিখে যুবকের আত্মহত্যার বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। পরিবারের আপত্তি না থাকায় বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাফনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
মন্তব্য করুন