মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৫:২৭ এএম
আপডেট : ১০ এপ্রিল ২০২৪, ০৮:৪৪ এএম
অনলাইন সংস্করণ

টাকা থাকলেও ৩ মাস বেতন পাচ্ছেন না শিক্ষক-কর্মচারীরা

জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ। ছবি : কালবেলা
জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজ। ছবি : কালবেলা

হবিগঞ্জের মাধবপুরে জগদীশপুর যোগেশ চন্দ্র হাইস্কুল অ্যান্ড কলেজের তহবিলে টাকা থাকা সত্ত্বেও শিক্ষক-কর্মচারীদের তিন মাস ধরে বেতন-ভাতা না দেওয়াসহ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ, গভর্নিং বডির সদস্যসচিব এবং সভাপতির বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠে।

এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও কর্মচারীরা জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন।

শিক্ষক ও কর্মচারীদের অভিযোগ, তিন মাস প্রতিষ্ঠান প্রদত্ত ভাতা তাদের প্রদান করা হয়নি। এপ্রিল মাস পার হলেও শ্রেণিশিক্ষকরা তাদের প্রাপ্য ভাতা এবং পরীক্ষা ভাতা পাননি। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে তাদের জীবন বিপর্যস্ত। ৩৫ জন শিক্ষক-কর্মচারীর বেতন-ভাতা ও বোনাস প্রদান করছেন না কর্তৃপক্ষ।

প্রতিষ্ঠানের শিক্ষানুরাগী সদস্য একলাছ উদ্দিন ভূঁইয়া কালবেলাকে বলেন, ফান্ডের টাকা লোপাট হচ্ছে। মাসিক মিটিংয়ে আয়-ব্যয়ের হিসাব নিয়ে আলোচনা হয় না। এ নিয়ে কথা বলার সুযোগও দেওয়া হয় না। এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ৯৬ হাজার টাকা সরকারি অর্থ তারা আত্মসাৎ করেছে। এখন ফান্ডে ৩৫ লাখ টাকারও তারা হিসাব দিচ্ছে না।

প্রতিষ্ঠানটির সিনিয়র সহকারী শিক্ষক মো. মুছলেহ উদ্দিন বলেন, আমরা শিক্ষকরা একধরনের অত্যাচারের শিকার। ৩-৪ মাস ধরে বেতন-ভাতাদি না পাওয়ায় আমরা খুব সমস্যার মধ্যে রয়েছি।

প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি নাসির খান বলেন, একটি পক্ষ এটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করছে। বেতন-ভাতাদি আমরা অনেকটা সমাধান করে নিয়ে আসছি। কিছু সমস্যা রয়ে গেছে। প্রধান শিক্ষকের বাসভবন নির্মাণ বিষয়টি নিয়মতান্ত্রিকভাবেই হচ্ছে। অর্থের কোনো অপচয় হচ্ছে না। প্রতিষ্ঠানের তহবিলে ৩৫ লাখ টাকা জমার বিষয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি এ বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি।

ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ নুরুল্লা ভূঁইয়া বলেন, আমার প্রতিষ্ঠানে কোনো অনিয়ম-দুর্নীতি নেই। থাকলে অবশ্যই সেটা বেরিয়ে আসত। ভাতা না দেওয়ার বিষয়টি আমরা দ্রুতই সমাধান করব।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম বলেন, দুর্নীতি এবং বেতন না পাওয়ার বিষয়টি আমরা জেনেছি। ঈদের পর এটি তদন্ত করে একটি প্রতিবেদন দাখিল করব। সর্বোচ্চ গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখার নির্দেশনা রয়েছে।

মাধবপুরের নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) একেএম ফয়সাল বলেন, এ বিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি। তদন্তের জন্য মাধ্যমিক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। যেহেতু অভিযোগের অনুলিপি জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো হয়েছে। তাই এটিকে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জনকল্যাণে কাজ করাই বিএনপির মূল লক্ষ্য : নয়ন

‘এক ফ্যাসিস্টকে হটিয়ে আরেক ফ্যাসিস্টকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না’

জুলাই বিপ্লবে আহত মুক্তিযোদ্ধার ছেলে বাবুকে নেওয়া হচ্ছে থাইল্যান্ড

মাদকাসক্ত ছেলেকে কারাগারে দিলেন মা

কপ২৯-এর এনসিকিউজি টেক্সট হতাশাজনক : পরিবেশ উপদেষ্টা

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ শুরু হলে নিরাপদ থাকবে যেসব দেশ

সাভারের তরুণীর টানে ঢাকায় কোরিয়ান যুবক

‘আ.লীগের মতো চোর পৃথিবীতে আর নেই’

‘উড়ন্ত চক্ষু হাসপাতালের সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী বাংলাদেশ’

সেন্টমার্টিন নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন পর্যটন উপদেষ্টা

১০

যুবলীগ নেতার বাড়ি থেকে বিপুল অস্ত্র উদ্ধার

১১

টেনিসে বাংলাদেশের আরেকটি জয়

১২

ইসরায়েলের মৃত্যু দেখছে ইরান

১৩

‘বাংলাদেশের সব জায়গায় নির্বাচনের বাতাস বইতে শুরু করেছে’

১৪

শিরোপা দিয়ে কিংসের মৌসুম শুরু

১৫

নেতানিয়াহুকে গ্রেপ্তার করবে ইতালি

১৬

জামায়াত রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে নেয় না : সেলিম উদ্দিন

১৭

২৩ রানের জন্য ফেরারি মিস আর্যবীরের

১৮

বড় যুদ্ধ বাধলে যেসব দেশকে পাশে পাবে রাশিয়া

১৯

মেসির কণ্ঠে বার্সেলোনার প্রশংসা

২০
X