বরিশালের আগৈলঝাড়ায় ডাকাত সন্দেহে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ১৭ সদস্যকে আটক করে পুলিশে দিয়েছিলেন স্থানীয় জনতা। প্রথমে পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয়দের লাঠিপেটা করে পুলিশ। পরে তাদের পরিচয় জানতে পেরে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৭ এপ্রিল) বিষয়টি জানিয়েছেন আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. আলম চাঁদ। এর আগে শনিবার (৬ এপ্রিল) উপজেলার নদীবন্দর বাগধা বাজারে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শনিবার রাত ১২টার দিকে উজিরপুর উপজেলার সাতলা থেকে বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার নদী বন্দর বাগধা বাজারের স্থানীয়দের কাছে ফোন আসে দুইটি স্প্রিড বোটে ১৫-২০ জনের একটি ডাকাত দল বাগধা বাজারের দিকে যাচ্ছেন। এ ঘটনায় স্থানীয়রা মসজিদের মাইকে ঘোষণা দিয়ে স্থানীয় সবাইকে ডাকাতদলকে প্রতিরোধের আহ্বান জানান।
এর কিছুক্ষণ পর বাগধা বাজারে দুটি স্প্রিড বোটে আসা ১৭ জন সদস্যদের স্থানীয়রা জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রথমে তারা জানান ডিবির সদস্য, পরে স্থানীয়রা পরিচয়পত্র দেখতে চাইলে দুএকজন বাদে অন্যারা পরিচয়পত্র দেখাতে না পারায় স্থানীয়দের সন্দেহ আরও বেড়ে যায়। পরে তাদের বাগধা বাজারের একটি দোকানে বসিয়ে রেখে বাগধা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি ও আগৈলঝাড়া পুলিশকে খবর জানান। ইতোমধ্যে বাগধা বাজারে ডাকাত ধরা পরার সংবাদ ছড়িয়ে পরলে মুহূর্তের মধ্যে শত-শত এলাকাবাসী ও ব্যবসায়ীরা জড়ো হন।
তাৎক্ষণিক আগৈলঝাড়া থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে বিক্ষুব্ধ লোকজন সামাল দিতে পুলিশ লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে ১৭ জনকে ওই রাতেই উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। তাদের থানায় নিয়ে আসার পর থানার ওসি মো. আলম চাঁদ মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. এনায়েত হোসেনের সঙ্গে ফোনে কথা বলে তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে তাদের ছেড়ে দেয়।
এ ব্যাপারে বাগধা ইউপি চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম বাবুল ভাট্টি জানান, আটককৃত ১৭ জনকে থানায় নিয়ে যায়। পুলিশ তাদের পরিচয় নিশ্চিত হয়ে ছেড়ে দেয় বলে জানায়।
এ ব্যাপারে আগৈলঝাড়া থানার ওসি মো. আলম চাঁদ বলেন, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এনায়েত হোসেন, উপপরিদর্শক ইশতিয়াক, আব্দুল মজিদ, সহকারী উপপরিদর্শক ফারুক হোসেনসহ ১৭ জনের একটি দল মাদকের অভিযানে বাগধা আসেন। তাদের পরিচয় জানার পরে তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে বরিশাল মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাঁজা উদ্ধারে ১৭ জন সদস্যের একটি টিম আগৈলঝাড়ার বাগধা বাজারে যাওয়া হয়। পরে স্থানীয় চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, পুলিশ এসে উত্তেজিত জনতার কাছ থেকে উদ্ধার করে আমাদের থানায় নিয়ে আসে। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরে আমাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
মন্তব্য করুন