সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে অভিনব কায়দায় পাচার হচ্ছে মাদক। সম্প্রতি দৈনিক কালবেলায় এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ প্রকাশিত হয়। বিষয়টি জেলা আইনশৃঙ্খলা কমিটির নজরে আসলে নড়েচড়ে বসে প্রশাসন। ইতোমধ্যে মাদক চোরাচালানিদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
জানা গেছে, কালীগঞ্জ উপজেলার বিজিবি ক্যাম্প শোলপুর বিওপি থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণে ইছামতি নদীর খানজিয়া এলাকায় প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে শেখ সাব্বির আহমেদ ও কুদ্দুস গাজী বালু উত্তোলন করেন। এতে করে একদিকে যেমন বিলীন হতে চলেছে বাংলাদেশের ভূখণ্ড, দেশ হারাচ্ছে সীমানা।
অপরদিকে এই বালু উত্তোলনের আড়ালে চলছে চোরাকারবারিদের রমরমা মাদক ব্যবসা। এই রুটকে নিরাপদ হিসেবে বেছে নিয়েছে মাদক কারবারিরা। তারা বালুভর্তি ট্রাক ও ট্রলারে করে ভারত থেকে কোটি কোটি টাকার মাদকদ্রব্য নিয়ে আসছে। সম্প্রতি মাদক চোরাচালান বন্ধে অনুমোদিত বালুমহাল বাতিলসহ তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে বিজিবি ও জেলা প্রশাসন।
জেলা প্রশাসক কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সাব্বির আহমেদের নামেই বালুমহালের লাইসেন্স রয়েছে। তবে এসব ব্যবসা দেখাশোনা করেন কুদ্দুস গাজী ও রনি নামে দুজন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিজিবির একাধিক কর্মকর্তা বলেন, সম্প্রতি মাদক চোরাচালান বন্ধে বিজিবির পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আমরা চোরাচালান বন্ধে ইছামতি নদীতে অনুমোদিত বালুমহাল বাতিলসহ তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছি। কালীগঞ্জ বাজারে মাদক চোরাকারবারি শেখ সাব্বির আহমেদের অনুমোদিত দেশি মদের দোকান রয়েছে।
কর্মকর্তারা বলেন, দেশি মদের পাশাপাশি গোপনে বিদেশি মদের ব্যবসা রয়েছে তাদের। মাদক ব্যবসা পরিচালনার জন্য নির্ধারিত মূল্যের থেকেও বেশি টাকার টেন্ডার দিয়ে বালুমহাল নিয়েছে তারা।
তারা আরও বলেন, বালুমহাল বাতিলসহ তাদের সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। আমরা মাদক চোরাকারবারিদের তালিকা করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আশা করি, দ্রুত সময়ের মধ্যেই আমরা চোরাচালান নির্মূল করতে সক্ষম হব।
মন্তব্য করুন