ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাকে সরগরম হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন মার্কেট। পিছিয়ে নেই নগরীর টেরিবাজারও। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত এ মার্কেটে কেনাকাটা করছেন অভিজাত গ্রাহকেরা।
পাশাপাশি গজ কাপড়ের দোকানগুলোতে চলছে জমজমাট বেচাকেনা। দিনের চেয়ে রাতে ক্রেতাদের ভিড় যেন বেশি। এদের মধ্যে নারী ও তরুণীদেরই সর্বাধিক উপস্থিতি।
শনিবার (৬ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১০ টার পর থেকে এমন চিত্র দেখা গেছে নগরের টেরিবাজারে। শাড়ি, লেহেঙ্গা, শার্ট, পাঞ্জাবি, ছোটদের পোশাকসহ পরিবারের সবার পরিধানসামগ্রী পাওয়া যাচ্ছে এ বাজারে।
এক সময় পাইকারি বাজারের জন্য বেশ পরিচিতি পেলেও এখন টেরিবাজার নগরের অভিজাত ক্রেতাদের ঠিকানা হয়ে উঠছে। দেশি-বিদেশি নিত্যনতুন ডিজাইনের দামি পোশাক পরিচ্ছেদ মিলছে এখানে।
টেরিবাজারের ভেতরে মেগামার্ট, বিনয় ফ্যাশন, মনে রেখ, আজমির শপিং সেন্টার, রাজপরি, রাজমুকুট, মায়াবী শপিংমল, সানা ফ্যাশন মল, মাসুম ক্লথ স্টোর, নিউ রাজপরি, সেলিম পাঞ্জাবি, রাজকুমারী শপিংমল, রাজস্থান, আরএক্স সুজ, পরশমণি, গুলশান শাড়ি মিউজিয়াম, আলমগীর ব্রাদার্সসহ প্রায় প্রতিটি বড় শোরুমে দেখা গেছে ক্রেতার ভিড়।
এর বাইরে মূল সড়কের মল টোয়েন্টিফোর, খাজানা, শৈল্পিক, ব্লু মুন, অলটেক্স মলসহ বেশ কিছু বড় শোরুমে দেখা গেছে স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদের কেনাকাটা করছেন নানা বয়সী মানুষ। ত্রিপিসের দোকানে কথা হয় বিক্রয়কর্মী সাজ্জাদ হোসের সঙ্গে।
তিনি বলেন, ক্যাটালগ অনুযায়ী সব ত্রিপিস আছে টেরিবাজারে। শুরুর দিকে পাইকারি বিক্রি করলেও ১৫ রমজানের পর থেকে খুচরা বিক্রি করছি আমরা।
টেরিবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আমিনুল হক কালবেলাকে বলেন, টেরিবাজারে শতাধিক বিপণিকেন্দ্রে দেড় হাজারের মতো দোকান ও শোরুম রয়েছে। থানকাপড়ের পাশাপাশি এখন বেশ কিছু অভিজাত শোরুম গড়ে উঠেছে। ক্রেতাদের চাহিদা মাথায় রেখে সব ধরনের পণ্যসামগ্রী তোলা হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠানে।
মন্তব্য করুন