যশোরে সরকারি চাকরির লোভ দেখিয়ে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩১০টি খালি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প, ১০০টি ব্যাংক চেক ও ১৪৭টি প্রবেশপত্র জব্দ করা হয়। শুক্রবার (৫ এপ্রিল) দুপুরে এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায় যশোর জেলা গোয়েন্দা শাখা।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মনিরামপুর পৌরসভার দূর্গাপুর গ্রামের মৃত সামছুল মোড়লের ছেলে বুলবুল আহমেদ বুলি (৪৬) ও হাকোবা গ্রামের সন্তোষ কুশারীর ছেলে পলাশ কুশারী (৪৩)। বৃস্পতিবার বিকেলে শ্যামল দাস নামে এক ভুক্তভোগীর অভিযোগে মনিরামপুর পৌর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, সরকারি চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রার্থীদের সঙ্গে মোটা অংকের অর্থের চুক্তি করে ব্লাঙ্ক স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর ও ব্লাঙ্ক চেক গ্রহণ করত তারা। স্বাভাবিক প্রক্রিয়ার চাকরি হলে কৌশলে জিম্মি করে চুক্তির সমুদয় টাকা আদায় করতেন। এভাবে দীর্ঘদিন ধরে যশোরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে প্রতারণা করে আসতেন বুলবুল ও পলাশ।
কেশবপুর উপজেলার মজিদপুর গ্রামের শ্যামল দাসের ছেলে সৌরভ কুমার দাস। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশ কনস্টেবল পদে যশোর জেলার প্রার্থী ছিল সৌরভ। চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ১৩ লাখ টাকা চুক্তি করে ব্লাঙ্ক চেক ও স্ট্যাম্প গ্রহণ করে চক্রটি। এদিকে, সৌরভ কুমারের চাকরি না হওয়ায় বিষয়টি জানাজানি হলে পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রতারক চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩১০টি খালি নন-জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প (বিভিন্ন ব্যক্তির স্বাক্ষর রয়েছে), ১০০টি ব্যাংক চেক ও ১৪৭টি প্রবেশপত্র জব্দ করা হয়। এর মধ্যে যশোর জেলায় পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের ১৭টি প্রবেশপত্র পাওয়া যায়।
জেলা গোয়েন্দা শাখা এসআই আব্দুল্লাহ আল মামুন কালবেলাকে বলেন, গ্রেপ্তার বুলবুল ও পলাশ কুমারী প্রতারক চক্রের সদস্য। মনিরামপুর থানায় দায়েরকৃত মামলায় শুক্রবার তাদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন