ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে নওগাঁর নিয়ামতপুরে জমে উঠেছে ঈদবাজার। গত কয়েক বছরের তুলনায় এবার ফুটপাত থেকে শুরু করে অভিজাত বিপণিবিতানগুলোতে ক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড় বেড়েছে।
মূলত গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে উৎসবের কেনাকাটা। চৈত্রের প্রবল তাপ উপেক্ষা করে পরিবার-পরিজনের জন্য নতুন পোশাক, জুতা, প্রসাধনী কিনতে বিপণিবিতানগুলোতে ভিড় করছেন নানা বয়সী মানুষ।
ঈদ যত এগিয়ে আসছে নিয়ামতপুরে মার্কেটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় ততই বাড়ছে। ক্রেতাদের আকৃষ্ট করতে মার্কেটগুলোতে করা হয়েছে আলোকসজ্জা। তবে নিত্যপণ্যের ঊর্ধ্বগতির ফলে ক্রেতারা এবার ঈদে হাত খুলে কেনাকাটা করতে পারছে না বলে জানিয়েছেন ক্রেতারা।
বুধার (৩ এপ্রিল) নিয়ামতপুর সদর বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বিপণিবিতানগুলোতে পোশাক থেকে শুরু করে জুতা, গহনা, ঘরের অন্দরসজ্জাসামগ্রী, ক্রোকারিজ ও ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রসহ বিভিন্ন পণ্য কিনতে ক্রেতারা ভিড় করছেন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে ক্রেতারা ঈদের কেনাকাটা করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।
শাড়ি, লুঙ্গি, শিশু পোশাকের দোকানসহ গার্মেন্টস দোকানে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। প্রচণ্ড গরম উপেক্ষা করে ক্রেতারা প্রিয়জনের ঈদের পোশাক কিনতে বিভিন্ন দোকানে ভিড় করছেন।
দোকানিরা ক্রেতাদের পছন্দ মাথায় রেখে আলিয়া কাট, আরিগ্রাউন্ড, ইন্ডিয়ান গ্রাউন্ড, নাইরা কাট, সারারা, গাড়ারা ও পাকিস্তানি গাউন দোকান সাজিয়েছেন। এর মধ্যে ক্রেতাদের প্রধান আকর্ষণে পরিণত হয়েছে নারীদের আলিয়া কাট আর নাইরা কাট জামা। এ ছাড়া বাচ্চাদের পোশাক, বিশেষ করে বিভিন্ন নকশার পাঞ্জাবিতেও রয়েছে সমান আকর্ষণ।
মেয়েকে নিয়ে কেনাকাটা করতে আসা মোরশেদা বেগম বলেন, সব জিনিসপত্রের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে কাপড়ের দাম। জামা কাপড়ের দাম অনেক বেশি। গত বছরের চেয়ে এবার দ্বিগুণ বেশি দামে পোশাক বিক্রি হচ্ছে। মেয়ে বায়না ধরেছে এজন্য যত কষ্টই হোক না কেন, মেয়েকে নতুন পোশাক কিনে দিতেই হবে।
ব্যবসায়ী লিটন ইসলাম বলেন, সব বয়সী শিশুদের বিভিন্ন ডিজাইন ও রঙিন জামা নিয়ে দোকান সাজিয়েছি। ঈদ যতই ঘনিয়ে আসছে ততই ক্রেতারা দোকানে আসতে শুরু করেছে। আশা করছি বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবার ব্যবসা ভালোই হবে।
মন্তব্য করুন