সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করার অভিযোগ উঠেছে জহির উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তিনি দলিল লেখক সমিতি সাধারণ সম্পাদক। ঘটনাটি ঘটেছে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগরে।
সরজমিনে দেখা যায়, তিন-চারজন মিস্ত্রি স্থাপনা নির্মাণের কাজ করছেন। কে বা কারা তুলছেন এমন প্রশ্ন করলে? সে প্রশ্নের জবাবে তারা কারো নাম বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
পরবর্তীতে অন্য একটি মাধ্যম থেকে জানা যায়, টিনশেড স্থাপনাটি নির্মাণ করছেন দলিল লেখক জহির উদ্দিন।
এ বিষয়ে দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিন দৈনিক কালবেলাকে বলেন, আমি যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমেই ঘরটি নির্মাণ করছি। ঘরটি নির্মাণ করার অনুমতিপত্র আছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর স্মারক নং ৩০৭০ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রেজিস্ট্রার অফিস বাউন্ডারির ভিতরে দলিল লেখার জন্য বসে কাজ করার অনুমতি প্রদান করার একটি চিঠি প্রদর্শন করেন।
২০১৭ সালে স্থাপনা নির্মাণের অনুমতি থাকার পরেও ২০১৯ সালে ঘরটি কেন ভাঙা হয়েছিল সে প্রশ্নের জবাবে তিনি কোনো সদুত্তর দেননি।
এদিকে জানা যায়, ২০১৭ সালে সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের প্রধান ফটকের সামনে টিনসেডটি নির্মাণ করলে অফিসের পরিবেশ ও সৌন্দর্য নষ্ট হওয়ায় জেলা রেজিস্ট্রারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থাপনাটি পরবর্তীতে জহির উদ্দিন ২০১৯ সরিয়ে নেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আ. লীগের একাধিক নেতা জানান, ২০১৭ সালে এই অবৈধ স্থাপনাটি নির্মাণের পর, ২০১৯ সালে স্থাপনাটি জেলা রেজিস্ট্রারের হস্তক্ষেপে ভেঙে দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, সাব-রেজিস্ট্রার অফিসের পুরাতন ভবনে দলিল লেখক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহির উদ্দিনের সুবিশাল একটি অফিস এবং রাস্তার পূর্ব পাশে দলিল লেখক অফিসে আরেকটি বসার নির্দিষ্ট স্থান রয়েছে।
নবীনগর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার বলেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমিততেই টিনশেড ঘর নির্মাণ করছেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা রেজিস্ট্রার সরকার লুৎফুল কবীরের কাছে জানতে চাইলে কালবেলাকে বলেন, যদি তার একটি অফিস থেকে থাকে, তাহলে তিনি নতুন করে অফিস নিতে পারেন না। স্থাপনাটি নির্মাণে বর্তমানে লিখিত কোনো অনুমোদন আছে কিনা- সে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, স্থাপনার জন্য লিখিত কোনো অনুমোদন তাকে দেওয়া হয়নি।
ইউএনও তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, বিষয়টি অবগত আছি, যদি উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার লিখিত উচ্ছেদের সহযোগিতা চান সেক্ষেত্রে আমি সহযোগিতা করব।
মন্তব্য করুন