ফেনীতে সড়কে বিটুমিন কম দেওয়ার প্রতিবাদ করায় এলজিইডির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মারধর করার অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নয়ন এন্টারপ্রাইজের লোকজনের বিরুদ্ধে। বুধবার (২৭ মার্চ) সদর উপজেলার শর্শদি ইউনিয়নের উত্তর শর্শদি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
আহতরা হলেন- সদর উপজেলা এলজিইডির উপসহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা, কার্যসহকারী বেলাল হোসেন মজুমদার, নৈশপ্রহরী নুরুল আবছার রাজু।
ফেনী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম চৌধুরী কালবেলাকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এলজিইডির কর্মকর্তা-কর্মচারী লাঞ্ছিত করা ঘটনায় একটি অভিযোগ পেয়েছি। এ বিষয়ে তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার (২৬ মার্চ) এলজিইডির সদর উপজেলা উপসহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানা কেল্লা শাহ সড়ক পরিদর্শনে গিয়ে কাজে অনিয়ম দেখতে পেয়ে তাদের সতর্ক করেন। কিন্তু ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমলে নেয়নি। বুধবার সকালে অফিসের কার্যসহকারী বেলাল হোসেন মজুমদার ও নৈশপ্রহরী নুরুল আবছার রাজুকে নিয়ে ফের পরিদর্শনে যান। সড়কে বিটুমিন কম দেওয়ায় সতর্ক করে পুনরায় দিতে নির্দেশ দিলে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের লোকজন তাদের মারধর করে।
আহত মাসুদ রানা বলেন, সড়কে বিটুমিনের পরিমাণ কম দেওয়া হচ্ছে। কাজ ঠিক করে পুনরায় বিটুমিন দিতে তাদেরকে নির্দেশনা দেই। এতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি সোহেল ও শ্রমিকদের দলনেতা মোফার নেতৃত্বে শ্রমিকরা মারধর শুরু করে। আমাকে বাঁচাতে এলে কার্যসহকারী বেলাল হোসেন মজুমদার, নৈশপ্রহরী নুরুল আবছার রাজুকেও মারধর করে তারা। এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী দীপ্ত দাস গুপ্ত বলেন, ঘটনাটি এলজিইডির ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এবং জনপ্রতিনিধিদের জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে ফেনী মডেল থানায় একটি অভিযোগ দেওয়া হয়েছে। পুলিশ আইনি ব্যবস্থা নেবে।
ফেনী সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শুসেন চন্দ্র শীল বলেন, ফেনীর যেকোনো উন্নয়ন কাজে অনিয়মের ব্যাপারে কোনো ছাড় নেই। সংসদ সদস্য নিজাম উদ্দিন হাজারী এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। যেই অনিয়ম করবে, কোনো পরিচয়ই তাকে রেহাই দিতে পারবে না। আমরা এ বিষয়ে আইনি ব্যবস্থা নিতে প্রকৌশল বিভাগকে অনুরোধ করেছি।
এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী আবদুল আহাদ নয়ন বিদেশে থাকায় তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
মন্তব্য করুন