মোংলা উপকূলীয় অঞ্চলকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা ঘোষণার দাবিতে কলস নিয়ে মানববন্ধন করেছেন শতাধিক বাসিন্দা। শুক্রবার (২২ মার্চ) মোংলা উপজেলার দক্ষিণ কাইনমারী এলাকায় এ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের সভাপতি মো. নূর আলম শেখ, মোংলা সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত উপাধ্যক্ষ বিভাষ চন্দ্র বিশ্বাস, মোংলা টেকনিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ মো. সেলিম প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বাংলাদেশ পানি আইনের ১৭ ধারা অনুযায়ী উপকূলীয় অঞ্চলকে পানি সংকটাপন্ন এলাকা হিসেবে ঘোষণা করতে হবে। সুন্দরবন উপকূলে ৭৩ শতাংশ পরিবার সুপেয় পানি থেকে বঞ্চিত বা খারাপ পানি খেতে বাধ্য হচ্ছে। উপকূলীয় এলাকায় লবণাক্ততা আগের তুলনায় ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। লবণাক্ততা এ অঞ্চলের মানুষকে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলছে। মিঠা পানির সহজলভ্যতা নিশ্চিত করতে আসন্ন জাতীয় বাজেটে উপকূলের জনবরাদ্দ দিতে হবে।
এদিকে মোংলা উপজেলা কৃষি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে ”নিরাপদ পানি, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত ন্যায্যতা” শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, ধরিত্রী রক্ষায় আমরা ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে এ গোলবৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে মোংলা পোর্ট পৌরসভার মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান বলেন, পৌর এলাকায় দৈনিক ৬৫ লাখ লিটার পানির চাহিদার বিপরীতে ২৯ লাখ লিটার পানি সাপ্লাই দেওয়া হয়। পৌর এলাকার ৫ হাজার ৬শ হোল্ডিংধারীদের মধ্যে ২ হাজার ৬শ হোল্ডিংধারীকে পানি সাপ্লাই দেওয়া হয়ে থাকে। এরইমধ্যে তিন থেকে চারশ গ্রাহকের পানির লাইন সংযোগের আবেদন জমা পড়ে আছে পৌরসভায়। সরকারি নতুন প্রকল্প গ্রহণ এবং পর্যাপ্ত অর্থ বরাদ্দ পেলে পানি সংকটের সমাধান সম্ভব। উপজেলা নির্বাহী অফিসার নারায়ন চন্দ্র পাল বলেন, সরকার উপকূলের সুপেয় পানির সংকট সমাধানে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বরাদ্দ দিয়ে থাকে। বিগত সময়ে মোংলা উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলে ১৮ হাজার পানির ট্যাংক বিতরণ করা হয়েছে। প্রতি বছরই উপকূলে সুপেয় পানির সংকট সমাধানে সরকারি অর্থ বরাদ্দ বাড়ছে।
মন্তব্য করুন