নিখোঁজের দুদিন পর ধানক্ষেতের পাশ থেকে যুবক সাকিল বেপারির (৩০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ইঁদুর মারার বৈদ্যুতিক ফাঁদে জড়িয়ে নিহত হওয়ার কথা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লেও বিষয়টি নিয়ে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে।
ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার কটকস্থল গ্রামের। নিহত সাকিল ওই গ্রামের মোহাম্মদ আলী বেপারির ছেলে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, বোরো ধানক্ষেতের পাশে যেখানে সাকিলের লাশ পড়েছিল তার পাশের একটি ধান গাছও নষ্ট হয়নি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ইঁদুর মারার বিদ্যুতের তারে জড়িয়ে সাকিলের মৃত্যু হলে বাঁচার জন্য তিনি আপ্রাণ চেষ্টা করতেন।
এতে যেখানে লাশ পড়েছিল তার পাশের ধান গাছ নষ্ট হওয়ার কথা। কিন্তু একটি ধান গাছেরও কিছু হয়নি। গ্রামবাসীর দাবি, পরিকল্পিতভাবে সাকিলকে হত্যা করে ধানক্ষেতের পাশে লাশ ফেলে রাখা হয়েছে। যা সঠিক তদন্ত করলে আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে।
গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মো. মাজহারুল ইসলাম জানান, নিহতের বাবা বাদী হয়ে একই গ্রামের সরোয়ার ফকির ও জব্বার আকনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, বাদীর কৃষি জমিতে যাওয়ার জন্য বিবাদীদের জমির ওপর দিয়ে যেতে হয়। বিবাদীরা তাদের জমিতে কাউকে না জানিয়ে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। গত ১৮ মার্চ দিবাগত রাত ১০টার দিকে নিজেদের কৃষি জমিতে ইঁদুর মারার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় সাকিল। এরপর আর তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
২০ মার্চ বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ধানক্ষেতের পাশে লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়।
ওসি (তদন্ত) আরও বলেন, এলাকাবাসীর গুঞ্জনের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে পুরো ঘটনার তদন্ত চলছে। ময়নাতদন্তের রির্পোট হাতে পেলে মৃত্যুর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। পাশাপাশি মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
মন্তব্য করুন