খুলনার উপকূলীয় উপজেলা কয়রায় উন্নত জাতের বার্লি চাষ হচ্ছে। খরচ কম ও স্বল্প পরিশ্রমে ভালো ফলন এবং দাম পাওয়ায় স্থানীয় কৃষক এ বার্লি চাষে ঝুঁকছেন।
উপকূলবর্তী উপজেলা কয়রার কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এ জনপদের অধিকাংশ জমি আমন ধান কাটার পরে খালি পড়ে থাকে। সেখানে মাত্র একটি সেচ প্রয়োগ করে বার্লির ফসল ফলানো সম্ভব।
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট কর্তৃক উদ্ভাবিত পুষ্টি সমৃদ্ধ বার্লির শস্যের ওপর মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৮ মার্চ) সকাল ১১টায় উপজেলার উলা গ্রামে সরেজমিন কৃষি গবেষণা বিভাগ এ মাঠ দিবসের আয়োজন করে।
সরেজমিন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. হারুন অর রশিদের সভাপতি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কয়রা পাইকগাছার সংসদ সদস্য মো. রশীদুজ্জামান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট গাজীপুরের উদ্ভিদ প্রজনন বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মতিয়ার রহমান ও উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আব্দুল্যাহ আল মামুন।
সরেজমিন কৃষি গবেষণা বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. কামরুল ইসলামের পরিচালনায় এতে আরও বক্তব্য রাখেন বাগালী ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ আ. সামাদ গাজী, উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নিশীত রঞ্জন মিস্ত্রি, সরেজমিনে গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক সহকারী মো. জাহিদ হাসান, উপসহকারী কৃষি অফিসার মো. আল মাহফুজ, স্থানীয় কৃষক জামশেদ আলী, আবু বকর প্রমুখ।
বাগালী ইউনিয়নের উলা গ্রামের কৃষক মো. জামশেদ আলী বলেন, এলাকার জমিতে আমন ধান কাটার পর খালি পড়ে থাকত। কিন্তু এ বছর কৃষি গবেষণার সহযোগিতায় আমি প্রথম ২ বিঘা জমিতে বার্লি চাষ করে ভালো ফলন পাব বলে আশা করছি। ধানের চেয়ে বার্লি আবাদ লাভজনক হওয়ায় এ কাজে ঝুঁকে পড়েছি। বিঘা প্রতি ৫ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ করে ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব হবে।
সরেজমিন গবেষণা বিভাগ খুলনার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হারুন অর রশিদ বলেন, যেসব জমি ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহ পর্যন্ত চাষের উপযুক্ত হয় এবং এক থেকে দুটি সেচের ব্যবস্থা থাকলে অনেক জমিতে বার্লির আবাদ বাড়ানো সম্ভব।
সরেজমিন গবেষণা বিভাগ কয়রা কৃষকদের উন্নতিকল্পে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে তাদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। ভালো ফলন হওয়ায় কৃষক আগ্রহী হয়ে উঠেছে।
মন্তব্য করুন