জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে সংবাদ সংগ্রহে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছেন চার সাংবাদিক। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শনিবার (১৬ মার্চ) রাত ১০টার দিকে পাঁচবিবি থানায় মামলা করেন উপজেলা প্রেস ক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বাংলাদেশ সমাচার পত্রিকার জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি জুয়েল শেখ। অপর পক্ষ থেকেও সাংবাদিকদের নামে মামলা হয়েছে।
রোববার (১৭ মার্চ) সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পাঁচবিবি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ফয়সাল বিন আহসান। এর আগে শনিবার (১৬ মার্চ) দুপুরে সাংবাদিকদের ওপর হামলা হয়।
আহত সাংবাদিকরা হলেন- মামলার বাদী দৈনিক বাংলাদেশ সমাচারের জয়পুরহাট জেলা প্রতিনিধি জুয়েল শেখ, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের জয়পুরহাট সংবাদদাতা ও দৈনিক বিজনেস বাংলাদেশের জেলা প্রতিনিধি আল মামুন, পাঁচবিবি উপজেলা প্রতিনিধি দৈনিক সংবাদ সারা বেলার বাবুল হোসেন ও দৈনিক মুক্ত সকালের জয়পুরহাট প্রতিনিধি আব্দুর রাজ্জাক।
অভিযুক্ত মাহমুদুল হাসান মহিপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক।
অপরদিকে বিবাদমান জমির এক পক্ষ রায়হান চৌধুরী বাদী হয়ে ওই চার সাংবাদিকের বিরুদ্ধে পাঁচবিবি থানায় চাঁদাবাজির মামলা করেছেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, উপজেলার পিরপাল গ্রামের দরিদ্র আদিবাসী ও স্থানীয় এক প্রভাবশালী ব্যক্তির মধ্যে জমিজমা নিয়ে বিবাদ চলছিল। বিষয়টি নিয়ে মামলা হলে আদালতের নির্দেশে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। শনিবার দুপুরে ওই প্রভাবশালী ব্যক্তি তার লোকজনদের নিয়ে ওই বিবদমান সম্পত্তি দখল করতে যান।
এমন খবর পেয়ে আহত সাংবাদিকরা ঘটনাস্থলে যান। সেখানে গিয়ে বিভিন্নজনের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন। একপর্যায়ে ওই প্রভাবশালীর পক্ষ নিয়ে স্থানীয় মহিপুর সরকারি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসানের নেতৃত্বে ৯ জন যুবক দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ওই সাংবাদিকদের বেধড়ক মারধর করে আহত করেন।
তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন এসে তাদের উদ্ধার করে বিকেলে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। পরে তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য জয়পুরহাট জেলা আধুনিক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয় এবং রাতে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতাসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করা হয়।
পাঁচবিবি উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম রুহুল আমিন বলেন, ‘হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে দোষীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।’
পাঁচবিবি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ‘আসামিদের ধরতে পুলিশের অভিযান চলছে।’
মন্তব্য করুন