বরগুনা প্রেসক্লাবে আটকে রেখে মারধরে নিহত সাংবাদিক তালুকদার মাসউদ হত্যা মামলার এজাহারভুক্ত সাত আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) বরগুনা মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে মামলার আটজন আসামি হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালত একজনকে জামিন দিয়ে বাকি সাতজনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন। কোর্ট পুলিশ ইন্সপেক্টর অশোক কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আসামিদের পক্ষে জামিন আবেদন করেন আইনজীবী আবদুর রহমান। তিনি বলেন, তালুকদার মাসউদ হত্যা মামলার আসামিদের বরগুনা মুখ্য বিচারিক হাকিম হারুন অর রশীদের আদালতে জামিন প্রার্থনা করেছিলেন। এদের মধ্যে এজাহারের ১৩নং আসামি মো. জাফর হোসেন হাওলাদারের জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত।
তিনি বলেন, মামলার এজাহারভুক্ত ৭ আসামি হলেন আসামি আ স ম হাফিজ আল আসাদ ওরফে সোহেল হাফিজ, আরিফুল ইসলাম মুরাদ, কাশেম হাওলাদার, সাইফুল ইসলাম মিরাজ, ওয়ালি উল্লাহ ইমরান, জাহিদুল ইসলাম মেহেদি ও সোহাগ হাওলাদারের জামিন নামঞ্জুর করে জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দিয়েছে আদালত।
এ বিষয়ে আইনজীবী আবদুর রহমান আরও বলেন, নথি হাতে পাওয়ার পর আমরা আদালতে জামিন প্রার্থনা করব।
মামলার বাদী ও নিহতের স্ত্রী সাজেদা বলেন, মামলার ১০ দিনেও কোনো আসামি গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। এমনকি তাদের প্রেসক্লাবের সদস্যপদ ও মিডিয়া থেকেও বহিষ্কার করা হয়নি। আমি ন্যায়বিচার নিয়ে শঙ্কিত। এমনিতেই আসামিদের সহযোগীরা মামলাটি বিভিন্নভাবে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। আমাকে চাপ প্রয়োগ করে আসছে। বাকি আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও ন্যায়বিচারের দাবি জানাই।
গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বরগুনা প্রেসক্লাবে আটকে রেখে মারধরের পর ২ মার্চ চিকিৎসাধীন অবস্থায় বরিশাল শেরবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সাংবাদিক তালুকদার মাসউদ। তিনি দৈনিক ভোরের ডাক পত্রিকার বরগুনা প্রতিনিধি ও নলটোনা ইউনিয়নের ইউপি সদস্য ছিলেন।
এ ঘটনায় ৪ মার্চ তালুকদার মাসউদের স্ত্রী সাজেদা বাদী হয়ে বরগুনা সদর থানায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে ১০-১২ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
মন্তব্য করুন