বাইরে ঝুলছিল তালা। ভেতর থেকেও কোনো সাড়া শব্দ আসছে না। কিন্তু তালা ভেঙে কারাখানার ভেতরে ঢুকতেই দেখা গেল ভিন্ন এক চিত্র। বাইরে তালা ঝুলিয়েই কারখানার ভেতরে মাছের খাবারের সঙ্গে ট্যানারি বর্জ্য মেশানো হচ্ছে। অন্যদিকে মানুষের খাবারের অনুযোগী ডাল ভাঙানো হচ্ছিল ‘লাকী ডাল মিলে’। শুধু তাই নয়, ঈদকে কেন্দ্র করে সেমাই তৈরির কারখানায়ও দেখা গেছে ব্যাপক জালিয়াতি।
বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) দেশের অন্যতম বড় ভোগ্যপণ্যের পাইকারি বাজার চাক্তাই-খাতুনগঞ্জে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় এমন জালিয়াতির দৃশ্য ধরা পড়ে। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্তের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। ৩টি প্রতিষ্ঠানকে সব মিলিয়ে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
অভিযানে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে সেমাই তৈরি এবং আবাসিক ভবনের নিচ তলায় চুল্লি বসিয়ে সেমাই তৈরির দায়ে ভবন মালিক মোহাম্মদ মিয়াকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। পাশপাশি কারখানাটি বন্ধ করে দেওয়া হয়।
অপরদিকে লাকী ডাল মিলে মানুষের খাবার অনুপযুক্ত ডাল ভাঙানো এবং প্যাকেট করার অভিযোগে ম্যানেজার সুজন চৌধুরীকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই সময়ে খাতুনগঞ্জের কামাল সওদাগরের ফ্যাক্টরিতে ক্ষতিকর ক্রোমিয়াম যুক্ত ট্যানারির বর্জ্য পোল্ট্রি ফিড এবং মাছের খাদ্যের সঙ্গে মেশানোর দায়ে ম্যানেজার মো. আবু তালেবকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। পাশাপাশি বর্জ্য মিশ্রিত পোল্ট্রি ফিড আগামী ৩ দিনের মধ্যে ধ্বংসের নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, পবিত্র রমজান মাসে অধিক মুনাফা লাভের আশায় যদি কেউ এ সব অসাধু কার্যক্রম চালায় তাদের কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো তৎপর রয়েছে। যেখানেই অভিযোগ পাওয়া যাবে সেখানেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
মন্তব্য করুন