সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়া উপজেলার বড়হর ইউনিয়নের আমডাঙ্গা-সড়াতৈল দুই কিলোমিটার কাঁচা সড়কটির বেহাল দশা। সামান্য বৃষ্টি হলেই পুরো রাস্তা কাঁদাময় হয়ে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ে। রাস্তার মাঝখানে সৃষ্টি হয় বড় বড় গর্ত। এসব গর্তে জমে যায় পানি। এতে চরম দুর্ভোগ পড়ে দশ গ্রামের বাসিন্দরা।
জানা গেছে, উপজেলার দশ গ্রামের মানুষের যাতায়াতের অন্যতম সড়ক এটি। পাঁচটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অন্তত দেড় হাজার শিক্ষার্থীরাও চলে এ সড়ক দিয়েই। হাটবাজার কমিউনিটি ক্লিনিকসহ উপজেলা সদরেও চলাচল করতে হয় সড়কটি দিয়ে। এমন একটি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়ক পাকা না হওয়ায় কষ্ট করেই চলাচল করতে হচ্ছে এই অঞ্চলের মানুষের।
সড়াতৈল গ্রামের বাবুল আক্তার, আল মাহমুদ ও আবদুল আলীমসহ অনেকেই বলেন, আমডাঙ্গা-সড়াতৈল কাঁচা সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন আমড়াঙ্গা, অলিপুর, বাদুল্লাপুর, পাঁচিলা, খাসচর, জামালপুরসহ অন্তত ১০ গ্রামের মানুষ যাতায়াত করে। এ সড়ক দিয়েই বাদুল্লাহপুর বিএনএস টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ, সড়াতৈল মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়, অলিপুর উচ্চ বিদ্যালয়, সড়াতৈল মাদ্রাসা, সড়াতৈল বাজার, কমিউনিটি ক্লিনিক ও পাঁচিলা বাজারে যাতায়াত করে থাকেন। এ ছাড়া বৃদ্ধ ও নারীদের ঝুঁকি নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। অপরদিকে এসব অঞ্চলের কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ে।
সড়াতৈল মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল মান্নান তালুকদার বলেন, স্থানীয় লোকজন এ রাস্তাটির নাম দিয়েছে ‘দুর্ভোগের সড়ক’ হিসেবে। রাস্তাটি পাঁকা করার জন্য অনেকবার ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানালেও তাতে কোনো কাজে আসেনি। শেষ হয়নি এলাকাবাসীর চলাচলের দুর্ভোগ।
বড়হর ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হাসান নান্নু বলেন, ওই রাস্তাটি নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ইউনিয়ন পরিষদে নেই। তবে এ বছর এটি পাকাকরণের একটি প্রকল্প তৈরি করে উল্লাপাড়া স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।
উল্লাপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী আবু সায়েদ জানান, বড়হর ইউনিয়ন পরিষদের দেওয়া প্রকল্প যাচাই-বাছাই করে তাদের অগ্রাধিকার তালিকায় অনুমোদনের জন্য ইতোমধ্যেই সংশ্লিষ্ট প্রধান কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমোদন পেলে দ্রুত এই রাস্তা পাকাকরণ কাজ শুরু করা হবে।
মন্তব্য করুন