ঝালকাঠিতে যদিও আমের ফলন কম তারপরও গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের মুকুল। প্রায় সব জায়গায় চোখে পড়ছে মুকুলে ছেয়ে যাওয়া অসংখ্য আম গাছগুলো। এভাবে ফাগুনে গাছে-গাছে প্রস্ফূটিত আমের মুকুল সর্বত্র ছড়াচ্ছে স্বর্ণালি আভা।
এসেছে ঋতুরাজ বসন্ত। আগুন ঝরা ফাগুনে গাছে গাছে জেগে উঠছে সবুজ পাতা। প্রকৃতির পালা বদলে সারা দেশের ন্যায় ঝলকাঠির প্রতিটি উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আমগাছগুলোতে মুকুলের মিষ্টি সুবাসে মৌ মৌ করছে প্রকৃতি।
আম বাগানের মালিকরা বলছেন, মাঘের মাঝামাঝিতে গাছে মুকুল দেখে তারা বুঝেছেন, আমের মৌসুম এসে গেছে। গাছগুলোর যত্ন নিতে পরিশ্রম শুরু করে দিয়েছেন। ভালো ফলনের আশায় গাছে পরিচর্যায় এখনো ব্যস্ত তারা। সুনামগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকাজুড়ে ছোট গাছ কিংবা বড় গাছেও দেখা মিলেছে মুকুল ও প্রায় সব জাতের আমগাছেই মুকুল এসেছে। যার সৌন্দর্য চোখ জুড়ানো। আমগাছের শাখাগুলো ভরা উজ্জ্বল সোনালি মুকুল যেন আকাশের বুকে ডানা মেলে দিয়েছে।
ঝালকাঠি জেলা কৃষি অধিদপ্তরের উপপরিচালক ইসরাত জাহান মিলি জানান, জেলায় এ বছর ২৫০ হেক্টর জমিতে আমের চাষ হয়েছে। ফজলী, রুপালি, হিমসাগর, ব্যানানা, কাঁচা মিঠা, লকনা, আশ্বিনাসহ দেশীয় প্রজাতির নানা জাতের আম চাষ হয়েছে। কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ ও সার্বিক সহযোগিতা দেওয়া হচ্ছে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ঝালকাঠিতে আমের বাম্পার ফলন হবে।
নলছিটিত উপজেলার আম চাষি মিন্টু মৃধা ও ছাইফুল ইসলাম পৃথক পৃথকভাবে জানান, এ বছর তাদের বাগানে প্রচুর পরিমাণে আমের মুকুল ধরেছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে তারা লক্ষাধিক টাকা লাভবান হবেন। ঝালকাঠির জেলায় মুকুলে ছেয়ে যাওয়া আমগাছগুলো আলাদা শোভা ছড়িয়েছে। সবুজ পাতার কিনার ছাঁপিয়ে ওঠা মুকুলের সোনালি রেণু যেন ফুলশয্যা সাজিয়ে স্বাগত জানিয়েছে বসন্তকে।
মন্তব্য করুন