শরীয়তপুরের জাজিরায় এক মাসের শিশু আল-ইসলামের লাশ দাফনের ৩৩ দিন পর ময়নাতদন্তের জন্য আদালতের নির্দেশে উত্তোলন করেছে পুলিশ। কবিরাজের ভুল চিকিৎসায় শিশুটি মারা যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
সোমবার (১১ মার্চ) বেলা ১১টার দিকে জাজিরা কেন্দ্রীয় কবরস্থান থেকে লাশটি উত্তোলন করা হয়। এ সময় জাজিরা উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আরিফুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মরদেহটি তোলার পর সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়নাতদন্তের জন্য শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে বলে কালবেলাকে নিশ্চিত করেন মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা জাজিরা থানা পুলিশ উপপরিদর্শক (এসআই) কায়কোবাদ।
শিশু আল ইসলাম কয়েক দিন ধরে ঠান্ডাজনিত সমস্যায় ভুগছিল। হঠাৎ করে একটু বেশি অসুস্থ হলে ৪ ফেব্রুয়ারি শিশু আল ইসলামকে জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় তার পরিবার। জাজিরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শিশুটিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। শিশুটিকে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হলে পরের দিন সেখান থেকে আবার ঢাকা শিশু হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়।
শিশুটিকে ঢাকা নিয়ে যাওয়ার সময় একই উপজেলার ফকির মাহমুদ আকন কান্দি গ্রামের কবিরাজ রহিম খান জানতে পেরে শিশুর বাবা রাসেল মাঝিকে কল করেন। তিনি বলেছিলেন, ‘ঢাকা নেওয়ার দরকার নেই। এটা কবিরাজি (ফকির) চিকিৎসা। তুমি আমার কাছে নিয়ে এসো। আমি তোমার ছেলেকে সুস্থ করে দেব।’
ফকিরের কথায় বিশ্বাস করে ৫ ফেব্রুয়ারি তিন বেলা তার কাছে নিয়ে যান এবং রহিম খান শিশুটিকে ৩ বেলা কবিরাজী চিকিৎসা দেন। এরপর গত ৮ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে শিশুটি মারা যায়। এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চেয়ে ওই কবিরাজসহ পাঁচজনকে আসামি করে জাজিরা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শিশুটির বাবা রাসেল মাঝি।
মন্তব্য করুন