নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে তিনি শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করছেন। এ ছাড়া বিনামূল্যে দেওয়া সরকারি বই বছর শেষে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে ফেরত নিয়ে কেজিদরে বিক্রি করেন ওই শিক্ষিকা।
জানা গেছে, সিদ্ধিরগঞ্জের কদমতলী এলাকার ৯৫ নম্বর আদমজীনগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা বেগম। তিনি বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অগোচরে পরিচ্ছন্ন কর্মীর বেতন দেওয়ার কথা বলে প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১২০ টাকা করে আদায় করেন। সরকারি বেতনভুক্ত একজন দপ্তরি থাকার পরেও আরেকজন পরিচ্ছন্ন কর্মী রেখেছেন তিনি। তার বেতন দেওয়ার কথা বলে বিদ্যালয়ের পাঁচ শতাধিক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে টাকা নিয়েছেন বলে শোনা যাচ্ছে।
এ ছাড়া বছর শেষে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে পুরনো বই ফেরত নিয়ে মজিবুর নামে একজন ভাঙারি ব্যবসায়ীর কাছে কেজি দরে বিক্রি করেন। বই কেনার বিষয়টি ব্যবসায়ী মজিবুর স্বীকার করেছেন।
অভিভাবক ইলিয়াছ বলেন, প্রধান শিক্ষিকার অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার প্রতিবাদ করলে তিনি আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন। তাই অপাতত আমার সন্তানকে স্কুলে পাঠাচ্ছি না। স্কুলটি সরকারি হলেও টাকা দিতে হয়।
জানতে চাইলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা খাদিজা বেগম টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেন। তবে বই বিক্রির অভিযোগ সঠিক নয় বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে আর টাকা নেওয়া হবে না।
বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি লিপি বেগম বলেন, প্রধান শিক্ষিকা টাকা নেওয়ার বিষয়টি আমি জানতে পেরে সভা ডেকেছি। সভার সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
নারায়ণগঞ্জ জেলা শিক্ষা অফিসার ফেরদৌসী বেগম বলেন, ‘সরকারি প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় বা পুরোনো বই ফেরত নেওয়ার কোনো নিয়ম নেই। তদন্ত করে এসব অভিযোগের সত্যতা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন