বাড়ির ওপর দিয়ে নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ বৈদ্যুতিক তারের জন্য আতঙ্কে আছেন মৌলভীবাজারের আমতৈল ইউনিয়ন সূর্যপাশা পয়েন্ট এলাকার বাসিন্দারা। বৈদ্যুতিক খুঁটিগুলো অনেক পুরোনো। এমনকি খুঁটির আশপাশে বড় গাছও আছে, যা ঝড়-তুফানে বৈদ্যুতিক খুঁটির ওপর পরে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী। খুঁটির আশপাশের ঝোপজঙ্গলও পরিষ্কার করা হয় না।
এলাকাবাসী জানান, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে অভিযোগ করার পরেও তারা ব্যবস্থা নিতে কালবিলম্ব করছে। বৈদ্যুতিক খুঁটি সরানোর জন্য তারা এলাকাবাসী থেকে টাকা দাবি করেছে। শ্রীমঙ্গল বিদ্যুৎ অফিসে জানানোর পরও তারা এ কাজে গড়িমসি করছেন, কোনো গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
মসজিদের ইমাম মওলানা আমিনুল ইসলাম বলেন, পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি লাইন সংস্কারের সময় ইচ্ছে করলে বিপজ্জনক লাইনটি রাস্তার পাশ দিয়ে নিতে পারত। তারা ৫টি খুঁটি নিয়ে এসেছিল। তখন লাইনটি রাস্তার পাশ নিতে গেলে অতিরিক্ত ১টি খুঁটির প্রয়োজন পড়েছিল। এ লাইনটি তালুকদার বাড়ির জন্য মরণ ফাঁদ তৈরি হয়েছে।
বাড়ির মালিক কাইয়ুম তালুকদার জানান, মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি অপরিকল্পিতভাবে ৩৩ হাজার কেভির লাইন মূল রাস্তা দিয়ে না নিয়ে আড়াআড়িভাবে বাড়ির ওপর দিয়ে টেনে নেন। আমার বাড়ির ছাদে ওঠে কেউ অসাবধানতাবশতঃ হাত উপরে নাড়ালে বিদ্যুতের তারে লেগে তার মৃত্যু নিশ্চিত। আর সবসময় বাড়ির কোমলমতি ছেলেমেয়েরা ছাদে খেলা করে। বাড়ির বাসিন্দা এমডিএ আলীম তালুকদার জানান, বিষয়টি দ্রুত সমাধান করা না হলে যে কোনো সময় বাড়ির কোমলমতি বাচ্চারা দুর্ঘটনার শিকার হতে পারে। মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতিতে আমতৈল অভিযোগ কেন্দ্রের কর্মকর্তা মো. শাহজালাল বলেন, আমাদের এ লাইনগুলোর কোনো ঝুঁকি নেই। ঝুঁকিপূর্ণ লাইন আমরা সঙ্গে সঙ্গে মেরামত করি। তিন মাস অন্তর আমরা পিলারের পাশের গাছপালা পরিষ্কার করি যাতে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা না ঘটে। নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ দেওয়ার সঙ্গে আমরা বড় প্রজেক্টের মাধ্যমে প্রত্যন্ত গ্রামে ৩৩শ সাবস্টেশন করে বিদ্যুৎ দিচ্ছি। মৌলভীবাজার পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার এবিএম মিজানুর রহমান জানান, পল্লীবিদ্যুৎ পরিবার এখন অনেক বড় হয়ে গেছে। ওদের সাঙ্গপাঙ্গ ও এর সঙ্গে শাখা ও প্রো-শাখা অভাব নেই।
মন্তব্য করুন