ছুটির দিনেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ২০ কিলোমিটার তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। যানবাহনের বাড়তি চাপে সকাল থেকেই সাইনবোর্ড শিমরাইল থেকে সোনারগাঁয়ের চৈতী গার্মেন্টস এলাকা হয়ে মেঘনা ঘাট টোল প্লাজা পর্যন্ত এ যানজট দেখা যায়।
শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে সরেজমিনে এ চিত্র দেখা যায়। এতে জনসাধারণের দুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন কাজে বের হওয়া যাত্রীরা যানজটের ফলে গাড়িতেই দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করতে বাধ্য হচ্ছেন। শিউলি আক্তার নামের এক যাত্রী বলেন, পরিবারের সবাইকে নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছি কুমিল্লাতে। কিন্তু যানজটের কারণে এক স্থানেই দীর্ঘক্ষণ বসে থাকতে হচ্ছে। সঙ্গে থাকা শিশুর সবচেয়ে বেশি কষ্ট হচ্ছে।
রমজান মিয়া নামের আরেক যাত্রী বলেন, ছুটির দিন হওয়ায় অসুস্থ মাকে দেখতে গ্রামের বাড়ি চট্টগ্রামে যাচ্ছি। রাস্তায় এত বেশি সময় লাগছে যে পৌঁছাতে বিকেল বা রাতও হয়ে যেতে পারে। অথচ অফিসের কাজে আমাকে আগামীকাল ভোরের মধ্যেই নারায়ণগঞ্জে থাকতে হবে।
মেরাজ মিয়া নামের প্রবাসফেরত এক যুবক বলেন, প্রায় ৫ বছর পর দুবাই থেকে বাংলাদেশ আসলাম। সকালে বিমানবন্দর থেকে গাড়িতে উঠেছি দাউদকান্দিতে আমার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে। যানজটে বসে বসে খুবই কষ্ট হচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে আমাদের দেশে শৃঙ্খলা বলতে কিছু নেই।
এ বিষয়ে কাঁচপুর হাইওয়ে থানার ওসি রেজাউল হক বলেন, আজ ছুটির দিনে অনেকেই বিভিন্ন কাজে এ মহাসড়ক বেশি ব্যবহার করছেন। এতে যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে মেঘনা ঘাটে টোল আদায়েও বিলম্ব হচ্ছে। তবে আমরা যানজট নিরসনে চেষ্টা করে যাচ্ছি৷
মন্তব্য করুন