হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে খতনা করানোর পর এক শিশুর জীবন এখন মৃত্যুর ঝুঁকিতে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই শিশুকে সিলেটের আরেকটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে নবীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।
বুধবার (৬ মার্চ) সন্ধ্যায় উপজেলার কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামে একটি ব্যক্তি মালিকানাধীন হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা যায়, উপজেলার আউশকান্দি বাজারে দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছে কেয়ার মেডিকেল সার্ভিসেস। অথচ নিবন্ধন না থাকায় ১৫ দিন পূর্বে হাসপাতালটি সিলগালা করে মোবাইল কোর্ট। সরকারি আদেশ অমান্য করে মালিক পক্ষ সিলগালা খুলে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছিল।
বুধবার সন্ধ্যায় তামিম মিয়াকে (১৩) খতনা করাতে সেখানে যান ওই উপজেলার উত্তর ফরিদপুর গ্রামের আব্দুস শহিদের স্ত্রী পারভীন বেগম। ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে তামিমের খতনা করেন ডা. জহিরুল ইসলাম জয়।
কিন্তু খতনার সময় পুরুষাঙ্গের অতিরিক্ত মাংস কেটে ফেলায় মারাত্মক রক্তক্ষরণ শুরু হলে তামিমকে গুরুতর অবস্থায় সিলেট পাঠানো হয়। পরে এ ব্যাপারে তামিমের স্বজনরা ওই হাসপাতালে গেলে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে কর্তৃপক্ষ। এ ব্যাপারে বুধবার রাতেই নবীগঞ্জ থানায় সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ও হাসপাতাল মালিকের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তামিমের চাচা হারুন মিয়া। এতে জড়িতদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন স্বজনরা।
তবে হাসপাতাল মালিক সোহুল আমিন জানান, রক্তক্ষরণ বন্ধ না হওয়ায় দ্রুত রোগীকে সিলেট পাঠানো হয়েছে। আর দুর্ব্যবহার নয়, মুঠোফোনে ভিডিও ধারণকে কেন্দ্র করে কথাকাটাকাটি হয়েছে।
এ বিষয়ে নবীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীন দেলোয়ার বলেন, সিলগালা করা কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টার কেন খুলা বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। এটা আমরা ১৫ দিন আগ সিলগালা করা হয়েছিল। নবীগঞ্জ উপজেলা টিএইচও ডা. আব্দুস ছামাদ বলেন, অনুমোদনহীন কেয়ার ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি সিলগালা করা হয়েছে। আজকে কেন কে বা কারা খুলছে আমরা বিষয়টি জানি না। খোঁজখবর নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
নবীগঞ্জ থানার ওসি মো. মাসুক আলী জানান, লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। ঘটনাটির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পুলিশ পাঠিয়েছি। আমাদের করণীয় যা করার তা করেছি। এখন পর্যন্ত মামলা রের্কড করা হয়নি, ঘটনাটি তদন্ত চলছে। রোগী এখন চিকিৎসাধীন আছে।
মন্তব্য করুন