আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা বাকি। এর পরই ভোট উৎসবে শামিল হবেন ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের (মসিক) ভোটাররা। ব্রক্ষপুত্র তীরের এই নগরীতে এখন বাঁধভাঙা আনন্দের জোয়ার। নগরজুড়ে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু মসিক নির্বাচন। সর্বত্র বইছে ভোটের হাওয়া। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাত ১২টায় শেষ হবে আনুষ্ঠানিক প্রচার। তাই প্রার্থীরা শেষ মুহূর্তে বিরামহীন দৌড়ঝাঁপ চালিয়ে যাচ্ছেন ভোটারদের সমর্থন পেতে।
নির্বাচনে এবারও প্রার্থী হয়েছেন সদ্য সাবেক মেয়র ইকরামুল হক টিটু। তিনি দ্বিতীয়বারের মতো সিটি মেয়র হতে লড়ছেন। এই দৌড়ে আরও চার প্রার্থী থাকলেও টিটুর তুলনায় এখন পর্যন্ত প্রচারের দিক থেকে অন্যরা ঢের পিছিয়ে। দলের বেশিরভাগ নেতাসহ বিশাল কর্মীবাহিনী ও শুভাকাঙ্ক্ষীরা টিটুর প্রচারে থাকায় প্রত্যেক ভোটারের কাছেই পৌঁছেছে ঘড়ি প্রতীকের আওয়াজ। ভোটারদের মুখে মুখে তাই টিটুর নামই উচ্চারিত হচ্ছে।
নগরীর বিভিন্ন ওয়ার্ড ঘুরে নানা শ্রেণিপেশার মানুষের কাছে তাদের প্রত্যাশা কী জানতে চাওয়া হয়। সবার একই ধরনের কথা। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে উন্নয়ন সমৃদ্ধের পথে যিনি ময়মনসিংহ নগরীকে এগিয়ে নিতে পারবেন, এমন স্মার্ট ব্যক্তিকে তারা মেয়র হিসেবে দেখতে চান। এই হিসাবে শহরকে বদলে দেওয়ার কারিগর সিটির প্রথম মেয়র ইকরামুল হক টিটুকেই প্রথম পছন্দ তরুণসহ সাধারণ ভোটারদের।
দুর্গাবাড়ি এলাকায় ফার্মেসিতে দাঁড়িয়ে কথা হচ্ছিল পঞ্চাশোর্ধ্ব ইদ্রিস আলীর সঙ্গে। মেয়র হিসেবে পছন্দের প্রার্থীর কথা জিজ্ঞেস করতেই বলেন, সিটিতে টিটুর বিকল্প নেই। একসময় নাকে-মুখে রুমাল দিয়ে এই শহরে পথ চলতে হতো। যেখানে সেখানে পড়ে থাকত ময়লার স্তূপ। বৃষ্টি হলেই পানিবন্দি হয়ে পড়ত মানুষ। অন্ধকারাচ্ছন্ন শহরে ছিনতাই ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। সেসব চিত্র এখন পুরোপুরি পাল্টে গেছে। সড়কে নেই ময়লা, ভারি বৃষ্টি হলেও কয়েক ঘণ্টাতেই নেমে যায় পানি। এ ছাড়া সড়ক অবকাঠামো, আলোকায়ন দৃশ্যপটের এমন পরিবর্তনের রূপকার তো টিটু।
সেহড়া উমেদ আলী সড়কের ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামও টিটুর প্রতি সমর্থন জানালেন একইভাবে। বলেন, টিটু আলোকিত আর গতিময় ময়মনসিংহের স্বপ্ন দেখিয়েছেন। তাকে কখনোই নগর পিতা হিসেবে দেখেনি কেউ। সবাই দেখেছেন নগর সেবক হিসেবেই। করোনাকালে সবাই তাকে কাছে পেয়েছে। তার কাছে সবাই সমান। তার পক্ষেই সম্ভব বাসযোগ্য ময়মনসিংহ উপহার দেওয়া।
তরুণদের কাছেও সমানভাবে জনপ্রিয় টিটু। সদা হাস্যোজ্জ্বল সাবেক এই মেয়র যখনই রাস্তায় হাঁটেন, তখনই ছুটে আসেন তরুণরা। এই নির্বাচনে হার-জিত নির্ধারণ করতে পারেন তরুণ ভোটাররা। প্রায় ৫০ হাজার তরুণ ভোটার এবারের নির্বাচনে ভোট দেওয়ার সুযোগ পাবেন। সমস্যা সমাধানে সিদ্ধহস্ত এমন জনবান্ধব নেতৃত্বকেই নগর সেবক হিসেবে চান তরুণ ভোটাররা। এ ক্ষেত্রে তাদের পছন্দের তালিকার অগ্রভাগে রয়েছেন টিটু।
সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) ময়মনসিংহের সম্পাদক ও সমাজকর্মী আলী ইউসুফ বলেন, সাধারণ মানুষের অনুভূতিকে ছুঁয়ে যাওয়া অসাধারণ এক নেতা টিটু। সাধারণ মানুষ চান রাজনীতিবিদরা তাদের কাছাকাছি থাকুক কিংবা তাদের কাছে যেন নির্ভয়ে ও নিঃসংকোচে যেতে পারেন। টিটুর মধ্যে এই গুণাবলি বিদ্যমান।
মন্তব্য করুন