ছাত্রলীগ-যুবলীগের মানববন্ধনে অতর্কিত হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে অন্তত ১০ থেকে ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এর মধ্যে ২ ছাত্রলীগ নেতার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সোমবার (৪ মার্চ) দুপুরে নগরের পাঁচলাইশ থানা মোড়ে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে এ হামলা চালানো হয়।
চমেকে ভর্তি দুই ছাত্রলীগ নেতা হলেন- আরাফাত হোসেন ও মিজান রহিম।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, নুর মোস্তফা টিনু চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। ২০২১ সালের ৭ অক্টোবর অনুষ্ঠিত উপনির্বাচনে টিনু ৭৮৯ ভোট পেয়ে জয়ী হন।
কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু ও চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির মধ্যে স্থানীয়ভাবে রাজনৈতিক বিরোধের বিষয়টি বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে এসেছে।
অভ্যন্তরীণ বিরোধের জেরে মারধরের শিকার মেহেদী হাসান রাকিব চকবাজার এলাকায় যুবলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত।
মেহেদী হাসান রাকিব জানান, রোববার (৩ মার্চ) আমাকে তুলে নিয়ে মারধর করে নুর মোহাম্মদ টিনু। এরই প্রতিবাদে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা মানববন্ধনের আয়োজন করে। সেখানে হঠাৎ ৮০ থেকে ১০০ জন সশস্ত্র হামলা চালায়। এতে আমাদের ১০ থেকে ১৫ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। কয়েকজনকে গুরুতর আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। তাদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পাঁচলাইশ থানার ওসি সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘কাউন্সিলরসহ ছয়জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। আমরা তদন্ত করে আইনগত পদক্ষেপ নিচ্ছি। হাসপাতালে এসেছি। ঘটনার বিষয়ে ভিকটিম ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য নেওয়া হচ্ছে। তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে বক্তব্য জানার জন্য চসিক কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনুর মোবাইলে একাধিকবার কল করেও সাড়া পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন