অর্থাভাবের কারণে বেশি দূর পড়াশুনা চালিয়ে যেতে না পারাটি মানুষটির আয়ে জুটত ৮ সদস্যদের আহার। যে আয় না করলে পুরো পরিবার না খেয়ে থাকতে হয় সেই মানুষটিই অকালে চলে গেল।
পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম মানুষটির জীবন চলে যাওয়ার সংবাদে পুরো পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
অজপাড়া গায়ের জুয়েল রানা নিজের ও পরিবাবের ভাগ্যের চাকা বদলানোর জন্য ৭ বছর আগে পাড়ি জমান রাজধানী ঢাকায়। ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় কাজ করে পরিবারের হাল ধরেন। ৭ মাস আগে রাজধানীর বেইলি রোডের খাবারের দোকান কাচ্চি ভাই রেস্টুরেন্টে চাকরি নেন।
জানা যায়, নিহত জুয়েলের সংসারে রয়েছে দুই সন্তান। এক ছেলে ও এক মেয়ে। বড় মেয়ের বয়স ৭ বছর। ছেলে তাইফুলের বয়স ২ বছর।
নিহতের মামাত ভাই সায়মন বলেন, পুরো পরিবারের দায়িত্ব ছিল জুয়েল ভাইয়ের মাথায়। নিজে জীবনে কত কষ্ট করেছে তা আমি কাছ থেকে দেখছি। আজ ভাই চলে গেল। এখন তার দুটি সন্তান ও তার বৃদ্ধ বাবা মাকে কে দেখবে।
গ্রামের ইউপি সদস্য কাওসার মুসুল্লি বলেন, জুয়েল অনেক ভালো ছেলে। সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করত। আমরা চেষ্টা করব সাধ্যমতো ওর পরিবারের পাশে দাঁড়াতে।
মিঠাগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান মেজবাহ উদ্দিন খান দুলাল বলেন, পরিবারটি অসহায়। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলে ছিল জুয়েল। এখন পরিবারটি আরও অসহায় হয়ে পড়ল। পরিবারের খোঁজ-খবর নিয়েছি। আমরা সবসময় এই পরিবারের পাশে থাকব।
এর আগে বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) রাত ৯টা ৫০ মিনিটের দিকে রাজধানীর বেইলি রোডে অবস্থিত কোজি কটেজ নামের বহুতল এই ভবনে আগুন লাগে। এতে এখন পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া, গুরুতর আহত অবস্থায় চিকিৎসা নিচ্ছেন আরও অন্তত ২২ জন। এ ঘটনায় নিহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন