খানসামা (দিনাজপুর) প্রতিনিধি
প্রকাশ : ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২:৫১ পিএম
অনলাইন সংস্করণ

ইউটিউব দেখে বিমান বানিয়ে তাক লাগালেন আলমগীর

বিমান ওড়ানো দেখতে স্থানীয়দের ভিড়। ছবি : কালবেলা
বিমান ওড়ানো দেখতে স্থানীয়দের ভিড়। ছবি : কালবেলা

স্বপ্ন ছিল প্রকৌশলী হওয়ার। ইচ্ছেও ছিল সে বিষয়ে পড়াশোনা করার। অভাবে পড়াশোনা থামিয়ে দিলেও প্রতিভা থামেনি আলমগীরের। নিজের তৈরি বিমান এখন আকাশে ওড়ে।

আলমগীর দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার খামারপাড়া ইউনিয়নের ভাণ্ডারদহ গ্রামের আব্দুল মজিদ ও জাহানারা বেগমের ছোট ছেলে।

নিজের সৃজনশীল মেধাকে কাজে লাগিয়ে ছোট আকারের একটি বিমান তৈরি করে এরইমধ্যে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন আলমগীর। তার তৈরি বিমানটি প্রায় এক কিলোমিটার দূরত্বে আধঘণ্টা ধরে উড়তে পারে।

আলমগীর মূলত চুক্তিভিত্তিতে শ্যালোমেশিন দিয়ে বিভিন্ন ক্ষেতে পানি দেওয়ার কাজ করে। এ কাজের পাশাপাশি সে তার মেধা খাটিয়ে অনলাইন ও ইউটিউব থেকে ধারণা নিয়ে এ বিমান তৈরি করে।

বুধবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) ওই এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, স্থানীয় একটি খেলার মাঠে ছোট বিমান ওড়াচ্ছেন আলমগীর। তাকে উৎসাহ জোগাচ্ছেন স্থানীয়সহ বিভিন্ন এলাকার মানুষ।

তার এই ছোট বিমানটি তৈরি করতে খরচ হয় ১২ হাজার টাকা। মূল বডি ককশিট দিয়ে তৈরি। এ ছাড়াও ট্রান্সমিটার, রিসিভার, ব্যাটারি, শক্তির জন্য ব্রাশলেস মোটর ও ছোট ফ্যান এবং চাকা রয়েছে। আকাশে ওড়ানো বিমানটি একটি রিমোটের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হয়।

বিমান তৈরির কারিগর আলমগীর কালবেলাকে বলেন, এর আগেও অনেক বিমান তৈরি করেছি। আবার ভেঙেও গেছে। তবুও আমি থামিনি। সর্বশেষ তৈরি করেছি ছেচনা মডেলের একটি বিমান। এটি গত ডিসেম্বর থেকে চূড়ান্তভাবে তৈরির কাজ করে ফেব্রুয়ারি মাসের শুরুর দিকে শেষ হয়। বাড়ির পাশে খেলার মাঠে পরীক্ষামূলকভাবে বিমানটি উড়াই।

খামারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুবকর সিদ্দিক চৌধুরী কালবেলাকে বলেন, আলমগীর ছোট থেকেই স্বপ্ন দেখেছিল বিমান তৈরি করার। সামান্য কিছু সামগ্রী দিয়ে বিমানটি তৈরি করেছে সে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. তাজউদ্দিন কালবেলাকে বলেন, আলমগীরের বিমান তৈরির বিষয়টি শুনেছি। সে স্মার্ট বাংলাদেশের স্মার্ট নাগরিক। আমরা তার উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। উপজেলা প্রশাসন তার সার্বিক সহযোগিতার জন্য সব সময় পাশে আছে।

কালবেলা অনলাইন এর সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিডটি অনুসরণ করুন
  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

জনবল নেবে মধুমতি ব্যাংক, ৩৫ বছরেও আবেদন

রাজশাহীতে গণপিটুনিতে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা নিহত 

কী ঘটেছিল ইতিহাসের এই দিনে

দেশে ফিরলেন আমিরাতে ক্ষমা পাওয়া ১৪ বাংলাদেশি

আজকের নামাজের সময়সূচি

শহীদ আমিনুলের সন্তানদের দায়িত্ব নিল ইত্তেফাকুল উলামা

রোববার রাজধানীর যেসব এলাকায় যাবেন না

মিছিলে বিএনপি নেতার গুলির প্রতিবাদে বিক্ষোভ

রৌমারীতে ব্যবসায়ীদের আহ্বায়ক কমিটির শপথ অনুষ্ঠিত

৬৫ ভরি স্বর্ণ ছিনিয়ে নেয়ায় মামুনের বিরুদ্ধে যুবদলের মামলা

১০

আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের ইসলামী আন্দোলনে যোগদান

১১

ক্ষমা পেয়ে আমিরাত থেকে ১২ জন ফিরছেন চট্টগ্রামে

১২

‘ছাত্র জনতার আন্দোলনে হাসিনা সরকার দুই ভাবে পরাজিত’

১৩

মহানবীকে (সা.) কটূক্তিকারী সেই যুবকের বিরুদ্ধে মামলা

১৪

শিবচর আঞ্চলিক সড়কে গ্রামবাসীর বৃক্ষরোপণ

১৫

মাদ্রাসাছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগ ধামাচাপা, ৭ দিন পর ফাঁস

১৬

১২ দিনেও মেলেনি রানীনগরে নিখোঁজ নার্গিসের সন্ধান

১৭

দায়িত্বশীলদের নিয়ে সাতক্ষীরায় ছাত্র শিবিরের সমাবেশ

১৮

আযহারী শিক্ষার্থীরা হবে বাংলাদেশ ও মিশরীয় ঐতিহ্যের সেতুবন্ধন : মিশরীয় রাষ্ট্রদূত

১৯

রাজশাহীতে বস্তাভর্তি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

২০
X