নারায়ণগঞ্জে হাসপাতাল, ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা অভিযান চালিয়েছেন। এতে ছয় প্রতিষ্ঠানকে বন্ধ ঘোষণা এবং দুটিকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া তিন প্রতিষ্ঠানকে কঠোরভাবে সতর্ক করেছে প্রশাসন।
মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সদর ও বন্দর উপজেলায় সিভিল সার্জন মুশিউর রহমানের নেতৃত্বে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
বন্ধ করা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, নারায়ণগঞ্জের খানপুর এলাকার মেডি এইড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আহিল ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আয়েশা জেনারেল হাসপাতাল অ্যান্ড ল্যাব ও ইমন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, বন্দরের ময়না জেনারেল হসপিটাল অ্যান্ড ডায়াগনস্ট্রিক সেন্টার ও ডিজিল্যাব ডায়াগনস্ট্রিক অ্যান্ড কনসালটেশন সেন্টার। শেষ দুুটি প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এদিকে নিয়মিত অভিযানের আলোকে শহরের খানপুর সেন্ট্রাল জেনারেল হাসপাতাল, গ্যাস্ট্রোলিভ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও বন্দর উপজেলার নবীগঞ্জ কদম রসুল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে কাগজপত্র সঠিক করার জন্য ৪৮ ঘণ্টার সময় দিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ। না হলে বন্ধ করে দেওয়া হবে বলে জানান সিভিল সার্জন।
অভিযানের বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিভিল সার্জন ডা. এফ এম মুশিউর রহমান জানান, অনিবন্ধনতীত ও লাইসেন্সহীন কোনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক ও হাসপাতাল চলতে দেওয়া হবে না। সে বিষয়ে আমাদের নতুন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জিরো টলারেন্স দেখিয়েছেন। শুধু তাই নয়; এই প্রতিষ্ঠানগুলো যাতে তাদের মান সঠিক রাখে সে বিষয়ে আমাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এই ধারাবাহিকতায় নারায়ণগঞ্জে ১১টি প্রতিষ্ঠানকে তালিকা করে বন্ধের নির্দেশ দিয়েছিলাম।
তিনি আরও বলেন, নির্দেশ পালন করা হচ্ছে কি না এবং প্রতিষ্ঠান বন্ধ করেছে কি না সেজন্য আজকে আমরা অভিযান পরিচালনা করেছি। আজ অভিযানে ৬টি প্রতিষ্ঠানকে তালা দিয়ে বন্ধ ঘোষণা করেছি এবং নিয়মিত অভিযানের অংশ হিসেবে ৩টি প্রতিষ্ঠানকে সতর্ক করে কঠোর নির্দেশনা দিয়েছি।