ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তানিয়া আক্তার নামের এক টিকটকার গৃহবধূর মৃত্যু নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি হয়েছে। তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন বলছে, টিকটক করতে বাধা দেওয়ায় সে আত্মহত্যা করেছে। আর তার বাবার দাবি- স্বামীর বাড়ির লোকজন তার মেয়েকে নির্যাতন করে মেরে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে।
সোমবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) সকালে উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের গাববাড়ী গ্রাম থেকে ওই গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে ময়নাতদন্তের জন্য ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
তানিয়া আক্তার (২৮) উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের গাববাড়ী গ্রামের হামদু মিয়ার ছেলে প্রবাসী এনামুল হকের স্ত্রী। তানিয়া ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলার বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর মিয়ার মেয়ে।
তানিয়ার বাবা জাহাঙ্গীর মিয়া জানান, এনামুলের সঙ্গে ২০১৬ সালে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে যৌতুকের জন্য তানিয়ার ওপর নির্যাতন করত স্বামীর বাড়ির লোকজন। এসব বিষয় নিয়ে আগে একাধিকবার সালিশ সভাও হয়েছে। মেয়ের মৃত্যুর খবরটি জানান স্থানীয় মেম্বার।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মুজিবুর রহমান জানান, গৃহবধূ তানিয়া টিকটক করত। স্বামী এনামুল হক সৌদি আরবে থাকেন। অন্য ছেলেদের সঙ্গে টিকটক করার ছবি এনামুলের নজরে গেলে প্রবাস থেকে স্ত্রী তানিয়াকে এসব করতে নিষেধ করেন। স্বামীর অবাধ্য হওয়ায় একপর্যায়ে এনামুল এসব ছবি তার শ্বশুরের কাছে পাঠানো হবে বলে স্ত্রীকে ধমক দেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। এসব বিষয়কে কেন্দ্র করে তানিয়া আত্মহত্যা করেছে। তাদের তিনটি সন্তান রয়েছে।
কসবা থানার ওসি মোহাম্মদ রাজু আহাম্মেদ জানান, গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। শরীরে কোনো প্রকার আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। ময়নাতদন্ত শেষে প্রকৃত বিষয়টি জানা যাবে।
মন্তব্য করুন