খুলনার পাইকগাছা পৌরসভা ও গদাইপুর ইউনিয়নে আংশিক লবণ পানি উত্তোলন বন্ধে ৪টি স্লুইস গেট তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তারা এসব বন্ধ করে দেন। ফলে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলেছেন এলাকার ধান চাষিসহ অন্যান্য কৃষকরা।
রোববার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকালে পাইকগাছা উপবিভাগীয় প্রকৌশলী উপ-সহকারী কর্মকর্তা শাহজালাল এ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় তিনি পৌরসভার মধ্য ৩টি ও পৌর সীমান্তবর্তী এলাকায় বযরা সরকারি স্লুইস গেটটি বন্ধ করে দেন।
পাউবো কর্মকর্তা শাহাজালাল জানান, এলাকাবাসীর অভিযোগের ভিত্তিতে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মোট ৪টি স্লুইস গেট তালাবদ্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ধান চাষি এনায়েত আলী, নুর আলী, আব্দুল গাজী, মিঠু সরদারসহ স্থানীয়রা জানান, স্লুইস গেট বন্ধের ফলে গোপালপুর, বান্দিকাটী, ঘোষাল, সরল ও বাতিখালী গ্রামের ইরি-বোরো ধান আবাদ ব্যাহত হবে না।
সম্প্রতি লবণ পানি উত্তোলন বন্ধে এলাকাবাসীর পক্ষে আব্দুস সবুর গাজী পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ জমা দেন। পরে পাইকগাছা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট অজিত কুমার মন্ডল পাউবোসহ স্থানীয় প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিদের নামে আইনি নোটিশ প্রদান করেন। এতেই নড়ে চড়ে বসে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ৮০ দশকে উপকূলীয় পাইকগাছার সমতলে লবণ পানি উঠিয়ে চিংড়ি চাষ শুরু হয়। অল্প সময়ে অধিক মুনাফার লোভে এ ব্যবসা অতি দ্রুত প্রসার লাভ করে। ১৯৯৭ সালে পাইকগাছা পৌরসভা ঘোষণা হলে পৌর অভ্যন্তরে লবণ পানি উত্তোলন বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ঘের মালিকরা বিভিন্ন অসাধু উপায়ে চিংড়ি চাষ অব্যাহত রাখে।
মন্তব্য করুন