রাজশাহীর তানোরে জিয়ারুল হক (৩৬) হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার পরপরই নারীসহ আটককৃত তিনজনকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজাতে পাঠিয়েছে পুলিশ। জিয়ারুল তালন্দ ইউনিয়ন যুবলীগের সাবেক সদস্য। বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন।
বুধবার (২১ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতেই নিহতের বড় ভাই রবিউল ইসলাম বাদী হয়ে ১৫ জনকে আসামি করে তানোর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারেও অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছেন তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুর রহিম।
গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন- মামলার তিন নম্বর আসামি মো. ফরহাদ (৩৫), ১০ নম্বর আসামি মো. সোহান (২১) এবং মোসা. সুমি বেগম (৩০)। তারা সবাই তানোর থানা এলাকার বাসিন্দা।
মামলার অন্য আসারিা হলো- আবুল হাসান (৪২), মো. জাকারিয়া (৩৮), মো. হাকিম বাবু (৩৪), মো. ইয়াসিন (২৮), মো. শাহিন (২৫), মো. মুরাদ হোসেন ফেলু (৩২), তোফাজ্জ্বল হোসেন মিঠু (৩৭), মো. রাশেল (৩০), মো. রিপন (৩২), মো. সুফিয়ান (৩৬), মো. দেলোয়ার হোসেন ওরফে জয়, মো. কাউসার (৩৭)।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাত ১১টার দিকে ফুল দেওয়ার জন্য তানোর উপজেলা শহীদ মিনারে যাচ্ছিলেন। পথে উপজেলা পরিষদ চত্বরে পৌঁছালে আসামিরা জিয়ারুলকে হত্যার হুমকি দেন। এতে জিয়ারুল শহীদ মিনারে ফুল না দিয়ে কয়েকজনকে নিয়ে চলে আসেন। পরে তিনি মোটরসাইকেলে করে রাত ১টার দিকে নিজ বাড়িতে রওনা দেন। কিন্তু পথরোধ করে বিলশহর এলাকায় আসামিরা তাকে হত্যা করে ফেলে রেখে যায়।
তানোর থানার ওসি জানান, জিয়ারুল হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিদের অচিরেই গ্রেপ্তার করা হবে।
মন্তব্য করুন