দ্বাদশ জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনে ফরিদপুর থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান।
বুধবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারি বাসভবন গণভবনে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
ঝর্ণা হাসান ফরিদপুর শহরের দক্ষিণ আলীপুরের বাসিন্দা। তার গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলায়। তিনি প্রয়াত শ্রমিকনেতা, ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং সাবেক পৌর মেয়র হাসিবুল হাসান লাভলুর সহধর্মিণী।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রয়াত হাসিবুল হাসান লাভলুর রাজনৈতিক অর্জন, ত্যাগ, জনপ্রিয়তা এবং শ্রমের পুরস্কার হিসেবে তার সহধর্মিণী ঝর্ণা হাসান দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে ফরিদপুরের সংরক্ষিত মহিলা আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন।
ঝর্ণা হাসান ২০০৪ সালে স্বামী হাসিবুল হাসান লাভলুর হাত ধরে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক হিসেবে রাজনৈতিক পথ চলা শুরু করেন। ২০০৯ সালে উপজেলা নির্বাচনে বিপুল ভোটে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন তিনি। ২০১৬ সালে ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০২০ সালে তিনি জেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের দায়িত্বও পালন করেন।
এ ছাড়াও ঝর্ণা হাসান বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ফরিদপুর ডায়াবেটিক সমিতি, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, ফরিদপুর সাহিত্য উন্নয়ন সংস্থার আজীবন সদস্য।
ঝর্ণা হাসানের বড় ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম প্লাবন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং ছোট ছেলে আশরাফুল হাসান প্রলয় ফরিদপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক।
ঝর্ণা হাসান কালবেলাকে বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন কর্মী হিসেবে দলের সংকট ও সম্ভাবনায় দলের পাশে থেকেছি। দলও আমাকে মূল্যায়ন করেছে। আমার স্বামী হাসিবুল হাসান লাভলু আমৃত্যু দলের জন্য অনেক খেটেছেন। সংরক্ষিত নারী আসনে আমাকে সুযোগ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। এলাকার সার্বিক উন্নয়ন ও সরকার ঘোষিত স্মার্ট বাংলাদেশ নির্মাণে প্রধানমন্ত্রীর পরিকল্পনা বাস্তবায়নে নিরলস কাজ করে যাব।
মন্তব্য করুন