দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে জয়পুরহাট জেলা থেকে দুজন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তাদের একজন হলেন মাহফুজা সুলতানা মলি। তিনি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। ছাত্রজীবনেই তিনি রাজনীতির মাঠে সক্রিয় হন। তার বাবাও ছিলেন প্রভাবশালী নেতা। দুর্বৃত্তের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন তিনি। এতেও ভীত হননি মলি। ছাড়েননি রাজনীতির মাঠ।
মাহফুজা সুলতানা মলির বাবা মজিবর রহমান (আক্কেলপুরী) জয়পুরহাটের প্রবীণ রাজনীতিবিদ ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক ছিলেন। আক্কেলপুরে তার বাবার প্রতিষ্ঠিত কলেজ মজিবর রহমান ডিগ্রি কলেজে পড়াশোনা করেন। সে সময় ছাত্রলীগের হয়ে নির্বাচন করে ছাত্র সংসদের জেনারেল সেক্রেটারি (জিএস) নির্বাচিত হন। বিএ পাস করার পর তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় হন। মলি উপজেলা নারী আওয়ামী লীগের সদস্য এবং জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদক। ইতিপূর্বে তিনি আক্কেলপুর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন। মলি আক্কেলপুর থানা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।
তিনি মা-বাবার একমাত্র সন্তান। বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গেও জড়িত। তার বাবা মজিবর রহমান রাজনীতির প্রথম জীবনে আক্কেলপুরের রুকিন্দ্রীপুর ইউনিয়ন পরিষদের দীর্ঘ সময় ধরে চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ১৯৭০ সালের গণপরিষদ নির্বাচনে বগুড়া-২ আসনের (কাহালু, দুপচাঁচিয়া ও আদমদীঘি) থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। হাতে লেখা বাংলাদেশের সংবিধানে মজিবর রহমানের সই রয়েছে। তিনি আক্কেলপুরে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন এ নেতা। ১৯৭৩ সালের ৭ অক্টোবর আক্কেলপুরের গোপীনাথপুর এলাকার একটি পুকুরে বড়শি দিয়ে মাছ শিকার করে মোটরসাইকেলে করে বাড়ি ফেরার পথে আক্কেলপুর-গোপীনাথপুর সড়কের ভিগনি গ্রাম এলাকায় আততায়ীর গুলিতে তিনি নিহত হন।
আওয়ামী লীগের ত্যাগী এ পরিবার থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাওয়ায় আক্কেলপুর উপজেলা আওয়ামী লীগ এবং জয়পুরহাটের আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা খুশি।
ক্ষেতলাল পৌর সদরের বাসিন্দা আজিজুল হক বলেন, ছোট এ জেলায় সংরক্ষিত আসনে দুজন মনোনয়ন পেয়ে সংসদ সদস্য হতে চলেছেন। এতে এলাকাবাসী খুশি। তারা জয়পুরহাটের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবেন এমনটাই জয়পুরহাটবাসীর প্রত্যাশা।
মন্তব্য করুন